গোয়েন্দা গল্প পড়তে কার না ভালো লাগে! বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরদের কাছে তো গোয়েন্দা গল্প ভীষণ রকম জনপ্রিয়। গোয়েন্দা গল্প পড়তে পড়তে অনেকে আবার নিজেকে খুব বড় গোয়েন্দাই ভেবে বসে। ছেলে বেলায় গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালো লাগতো, অথচ নিজেকে গোয়েন্দা ভাবেনি; এমন মানুষও খুব কমই আছে। গোয়েন্দা হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে ছেলে বেলায় বলতে গেলে প্রায় সবারই ছিল।
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা বাহিনীতেও নানা রকম উদ্দেশ্যে কিশোরদের গোয়েন্দাবৃত্তিতে ব্যবহার করা হয়। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কিশোরদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও কিশোর যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
একইরকম ভাবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও একদল কিশোর মিলে মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলো এক গোয়েন্দা সংস্থা; যার নাম চার্চিল ক্লাব। ১৪ বছরের একদল স্কুল ছাত্র ছিল এ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জার্মানদের প্রতিহত করা। জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এ গোয়েন্দা দলটির বীরত্বের কাহিনী ইতিহাসের পাতায় সোনালি হরফে লেখা আছে। চার্চিল ক্লাব নামের এই কিশোর গোয়েন্দা সংস্থাটি সম্পর্কেই আজকের আলোচনা।
শুরুর কথা
চার্চিল ক্লাবের উদ্ভব ঘটেছিলো ডেনমার্কে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৩৯ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রধান পক্ষ ছিল দুটো, মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। মিত্রশক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স প্রভৃতি; অক্ষশক্তিতে জার্মানি, ইতালি, জাপান প্রভৃতি দেশ ছিল। এগুলো আমরা সবাই জানি।
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর হিটলারের নির্দেশে জার্মান সেনারা পোল্যান্ডে প্রবেশ করে। ফলশ্রুতিতে, গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স ৩রা সেপ্টেম্বর জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মজার ব্যাপার হলো, ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত নাৎসিদের সঙ্গে ব্রিটেন কিংবা ফ্রান্সের কোনো সশস্ত্র যুদ্ধই হয় নি। এ সময়টাকে বলা হয় ‘নকল যুদ্ধ’।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই এপ্রিল নাৎসি সেনারা বিনা রক্তপাতে ডেনমার্ক দখল করে নেয়। জার্মান সেনারা ঘোষণা করে, ড্যানিশরা যেন তাদের সহযোগিতা করে; নয়তো নাৎসিরা সাধারণ মানুষের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করবে।
ডেনমার্ক তখন যুদ্ধাস্ত্রে তেমন একটা উন্নত ছিল না। সামরিক লড়াইয়ে হিটলারের মহা শক্তিধর জার্মানিকে হারাতে পারবে, এমন কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। তাই স্থানীয় প্রশাসন নাৎসিদের সহযোগিতা করতে বাধ্য হলো। ডেনমার্কে নাৎসি বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো।
স্কুল পালানো ছেলের দল
ডেনমার্কের আলবর্গ শহরের ছোট্ট এক হাই স্কুল। নাম, ‘আলবর্গ ক্যাথিড্রাল হাই স্কুল’ । ৯ই এপ্রিলে নাৎসি বাহিনীর ঘোষণা সেখানেও পৌঁছে গেছে। এমন ঘোষণা শুনে ছাত্রদের মন ভেঙে গেলো। নিজেদের তারা জার্মানদের দাস ভাবতে লাগলো।
এরই মধ্যে একদিন ডেনমার্কের ওডেন্স শহর থেকে দুটো ছেলে এসে ক্যাথিড্রাল হাই স্কুলে ভর্তি হলো। ওরা দুই ভাই, নাড পেডারসন আর জেন্স পেডারসন। এই দুই ভাই কেমন যেন অদ্ভুত প্রকৃতির, সাবধানী দৃষ্টি। হাব-ভাব আর বাচন ভঙ্গি দেখে খুব সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করে ফেলা যায় এই দুই ভাইকে।
পেডারসন ভাইদের কাছ থেকেই ক্যাথিড্রাল হাই স্কুলের ছাত্ররা জানতে পারলো, ওডেন্সে নাৎসি বিরোধী একটি গোয়েন্দা সংস্থা গঠিত হয়েছে। সংস্থাটির নাম হলো রয়্যাল এয়ারফোর্স ক্লাব ( RAF )। এর সদস্যরা ডেনমার্ক থেকে নাৎসিদের উৎখাত করতে চায়।
প্রকৃতপক্ষে, ওডেন্স শহরের ওই ক্লাবটি পেডারসন ভাইয়েরাই প্রতিষ্ঠা করেছিলো। ওরা জানালো, সবার সহযোগিতা পেলে তারা এখানেও এমন একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
দুই ভাইয়ের কথা শুনে সহপাঠীরা উৎসাহিত হলো। নাৎসিদের উৎখাতের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলো। দুই ভাই সহ মোট ৮ জনকে নিয়ে গঠিত হলো গোয়েন্দা সংস্থা। মিত্রশক্তির অন্যতম প্রধান নেতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাটির নাম রাখা হলো চার্চিল ক্লাব। চার্চিল ক্লাবের প্রধান নির্বাচিত করা হলো নাড পেডারসনকে।
একের ভিতর চার
চার্চিল ক্লাবের কার্যক্রমকে চারটি স্তরে বিন্যস্ত করা হলো। প্রতিটি উপদলের কাজ হবে আলাদা, নেতা থাকবে আলাদা। উপদল চারটির নাম ছিল কালেক্টর টিম, প্রপাগান্ডা টিম, টেকনোলজি টিম, অ্যাটাক টিম।
১. কালেক্টর টিম: কালেক্টর টিমের কাজ ছিল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা সংগ্রহ করা। কালেক্টর দল তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন উৎস থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতো। চাঁদার অর্থ দিয়ে প্রপাগান্ডা টিম, টেকনোলজি টিমের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হতো।
২. প্রপাগান্ডা টিম: প্রপাগান্ডা টিমের কাজ ছিল নাৎসিদের ভয় দেখানো, আর ড্যানিশ জনগণকে সাহস দেয়া। নাৎসিদের ভয় দেখানোর জন্য বিভিন্ন গুজব রটানোর কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করতো প্রপাগান্ডা টিম। এছাড়া সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা কিংবা উৎসাহ দেয়ার জন্য লিফলেট বিতরণসহ নানা রকম প্রচারণা চালানো হতো।
৩. টেকনোলজি টিম: টেকনোলজি টিম মূলত যন্ত্রপাতি, অস্ত্র সংক্রান্ত কাজ করতো। প্রয়োজনীয় অস্ত্র নির্মাণ, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি তৈরি করা, বিভিন্ন যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ছিল টেকনোলজি টিমের কাজ।
৪. অ্যাটাক টিম: অ্যাটাক টিম ছিল চার্চিল ক্লাবের ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। সকল প্রকার চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর দায়িত্ব ছিল অ্যাটাক টিমের উপর ন্যস্ত।
চার্চিল ক্লাবের প্রতিটি টিম একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল ছিল। চারটি টিমের সমন্বয়ে ধীরে ধীরে চার্চিল ক্লাবের কার্যক্রমের পরিসর বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কাউবয় অব পিচ
চার্চিল ক্লাবের গতিবিধি শুরু হয়ে গেলো। প্রপাগান্ডা টিম রাতের অন্ধকারে সাইকেলে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে লিফলেট বিলি করতো। এজন্য স্থানীয় লোকেরা তাদের নাম দেয় কাউবয় অব পিচ ।
তাদের কথা তাদের বাবা-মায়েরা জানতো না, যে অল্প ক’ জন জানতো তারাও চুপ করে থাকতো। চার্চিল ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন রকম গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যেতে লাগলো।
টেকনোলজি টিম বোমা বানানোতে সফল হলো। অ্যাটাক টিম বোমাটা নিয়ে সামরিক ব্যারাকের সামনে রাখা একটি ট্রাকের নিচে রাখলো। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বোমাটা ফাটলো না। টেকনোলজি বিভাগ আরো নিখুঁত ভাবে বোমা তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত হলো।
এদিকে অ্যাটাক টিম তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। তারা সেনাদের পার্ক করা গাড়ি ছোট ছোট পেট্রোল ভর্তি কৌটো ব্যবহার করে জ্বালিয়ে দিতে লাগলো, কৌশলে সামরিক তথ্য জানার জন্য কখনো বা নাৎসি সৈন্যদের জুতো পলিশ করতো।
এবার চার্চিল ক্লাবের সদস্যরা অস্ত্র সংগ্রহের দিকে মন দিলো। সেনাদের অস্থায়ী তাঁবুতে গোপনে ঢুকে পড়ে অস্ত্র চুরি করতো, কখনো বা পার্ক করে রাখা গাড়ি থেকে অস্ত্র সরিয়ে ফেলতো। যখন ব্রিটিশ বিমান প্যারাসুটে বেঁধে অস্ত্র ফেলতো। সেগুলো তারা সংগ্রহ করে বাগানের মাঠ খুঁড়ে গুদাম তৈরি করে জমা করে রাখতো। কিছুদিনের মধ্যে তাদের অস্ত্রের সংগ্রহও বেশ ভালো হয়ে গেলো।
ততদিনে টনক নড়েছে নাৎসিদের, চার্চিল ক্লাবের খবর চাউর হয়ে গেছে সব খানে। ডেনমার্ক পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেয়া হলো বিপ্লবীদের গ্রেফতার করার জন্য। তবে প্রকৃতপক্ষে ডেনমার্ক পুলিশও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অভিযান চালাতো না। তারা ভাবতো, সরকারি উর্দি পরে যে কাজ তারা করতে পারছে না, সে কাজ অন্তত কেউ না কেউ তো করছে! ফলে চার্চিল ক্লাবের গতিবিধি আরো জোরালো হতে শুরু করলো।
গ্রেফতার
১৯৪২ সালে এক মহিলা এক কিশোরকে তাঁবু থেকে অস্ত্র চুরি করতে দেখে ফেলে। তিনজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ধরা পড়ার আড়াই মাস পর বিচার শুরু হলো। বিচারক চেয়েছিলেন তাদের ছেড়ে দিতে, কিন্তু বন্দীরা দোষ স্বীকার করলো নির্ভয়েই। কিং হ্যান্স স্ট্রিটের কারাগারে প্রেরণ করা হলো তিন কিশোরকে।
অদম্য চার্চিল ক্লাব
কারাগারে পাঠিয়েও থামিয়ে রাখা গেলো না কিশোরদের। তিন কয়েদি একই সেলে থাকতো। একদিন তাদেরই একজনের ভাই একটি খবরের কাগজ নিয়ে কারাগারে দেখা করতে এলো। কাগজের ভেতর ছোট আকারের একটি করাত ছিলো। কৌশলে কয়েদিরা রাতের বেলায় করাত দিয়ে শিক কেটে বাইরে বের হতো। তারপর জেলের পাঁচিল টপকে ক্লাবে যেতো, বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজ করতো, ভোর হওয়ার আগেই আবার তারা জেলে ঢুকে পড়তো।
হঠাৎ এক রাতে কারফিউ জারি করা হয়। সন্ধ্যার পর পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বাইরে থাকলে আটক করার নির্দেশ দেয়া হলো। কারাবন্দী থাকায় এ খবর কয়েদিদের কাছে পৌঁছে নি। সে রাতে বাইরে বের হওয়া মাত্র তাদের দুইজন রাস্তায় ধরা পড়ে যায়। একে একে চার্চিল ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যকেই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত মোট ২৫টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছিলো চার্চিল ক্লাবের সদস্যরা। বলা হয়, চার্চিল ক্লাবের অভিযানে নাৎসি বাহিনীর প্রায় ১৮৬ কোটি ক্রোন ক্ষতি হয়েছিলো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮২২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ!
মুক্তি
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। ডেনমার্ক শত্রুমুক্ত হওয়া মাত্রই চার্চিল ক্লাবের সদস্যদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। আস্তে আস্তে চার্চিল ক্লাবের কথা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, এক সময় পৌঁছে যায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। সবাই জানতে পারে আলবর্গের ক্যাথিড্রাল হাই স্কুলের ছাত্রদের প্রতিষ্ঠিত এই গোপন দলের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিকলাপ। সমগ্র দেশবাসী চার্চিল ক্লাবকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেছিলো।
পরিশিষ্ট
বিশ্বযুদ্ধের সাথে সাথে চার্চিল ক্লাবের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়ে যায়। সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের কাজে। চার্চিল ক্লাবের নেতা নাড পেডারসন জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শিল্পকলার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। লেখালেখি, ছবি আঁকা প্রভৃতি কাজে তার বাকি জীবনের বেশিরভাগটাই কেটে যায়। এই বিপ্লবী নেতা ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
চার্চিল ক্লাবকে নিয়ে বিভিন্ন ফিকশন কিংবা নন-ফিকশন বই, মুভিও নির্মিত হয়েছে। নাড পেডারসন নিজেই এ সম্পর্কে চারটি বই লিখেছেন। এরকম দুটি বিখ্যাত বই হচ্ছে,
The Boys who Challenged Hitler
চার্চিল ক্লাবের গল্প এখানেই শেষ। চার্চিল ক্লাবের ৮ সদস্য দেখিয়েছিলো কীভাবে অসাধ্য সাধন করতে হয়। ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্র হয়েও অমিত শক্তির নাৎসি বাহিনীর কপালে চিন্তার রেখা তৈরি করে দিয়ে এ দুরন্ত কিশোররা দেখিয়েছিলো তাদের অসীম সাহসের আলোকচ্ছটা। দেশপ্রেমের সাথে সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার মিশেলে নিজেদের নাম চিরস্থায়ী করে রেখে গেছে এই ৮ জন কিশোর।
চার্চিল ক্লাবের এই সাহসিকতার গল্প পুরো পৃথিবীর শোষিত-নিপীড়িত জনপদের কিশোর-কিশোরীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রইবে চিরকাল।
রেফারেন্স:
https://en.wikipedia.org/wiki/Churchill_Club
https://en.wikipedia.org/wiki/Knud_Pedersen
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন