আমরা আমাদের জীবনে অনেক মানুষকে দেখেছি যারা অনেক জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের সঠিকভাবে উপস্থাপন ও প্রকাশ করতে পারেন না। এমনকি শিক্ষা জীবনে এমন অনেক শিক্ষকদের দেখেছি যাঁদের পড়া আমাদের বুঝতে বেশ কষ্ট হয়ে যেত। নিঃসন্দেহে তারা অনেক জ্ঞানী কিন্তু ঘাটতি ছিল তাদের উপস্থাপনের।
সুন্দর করে কথা বলা হচ্ছে একটি আর্ট। স্মার্টনেসের প্রথম শর্ত সুন্দর করে কথা বলার কৌশল জানা। অনেকেই দেখা যায় অনেক জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও কথা বলার কৌশল না জানায় সঠিকভাবে নিজের মনেরভাব প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে শ্রোতারা অল্পতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নিজেকে প্রকাশ করতে কে না চায়? বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে ভাব প্রকাশের সৌন্দর্য হচ্ছে অন্যতম একটি উপাদান। আর এজন্যই প্রয়োজন স্মার্টভাবে ইংরেজি ও বাংলা কথা বলার উপায় জানা।
শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা কাজটা খুব কঠিন কিছু নয়। মুখের জড়তা দূর করার উপায় জানলে জনসম্মুখে ইংরেজি কিংবা বাংলা কথা বলা কিংবা বক্তব্য রাখাও বেশ সহজ হয়ে যায়। তেমনি ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ ও শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম জানলে গুরুত্বপূর্ণ এই ভাষাটাও সহজ হয়ে যায়। কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলব, এটা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজের চেষ্টা এবং সামান্য কিছু গাইডলাইন নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই যথেষ্ট। বাংলা ও ইংরেজিতে সুন্দর করে কথা বলার কৌশল ও মুখের জড়তা দূর করার উপায় নিয়েই মূলত আজকের এই ব্লগ।
ঘরে বসে Spoken English
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
সুন্দর করে কথা বলার কৌশল ১: নিজেকে বিশ্লেষণ কর
প্রথমেই নিজেকে বিশ্লেষণ করতে হবে। তুমি কী বিষয়ে কথা বলছ, কীভাবে কথাটি শুরু করছ, কার সঙ্গে কথা বলছ এবং তার সাথে দেখতে হবে তোমার কণ্ঠস্বরটি কেমন। সেটি কি খুব বেশি কর্কশ , খুব মিষ্টি নাকি স্বাভাবিক। যেই বিষয় নিয়ে তুমি কথা বলছ সেই বিষয়ে তোমার দক্ষতা কেমন এটি জানা ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিশ্লেষণের ফলাফল কাগজে লিখে রাখাই ভাল। সুন্দর করে ইংরেজি কিংবা বাংলা কথা বলা পুরোটাই চর্চার ওপর নির্ভরশীল।
সুন্দর করে কথা বলার কৌশল ২: আগে শোনার ওপর গুরুত্ব দাও
কোন একটা আলোচনায় যোগ দিতে গেলে আগে শোন কে কী বলছে। হুট করে কোন মন্তব্য করা বোকামির কাজ। মূল বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা কর। কেউ যদি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করে তবে তাকে অনুসরণ করা যেতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার কৌশল।
সুন্দর করে কথা বলার কৌশল ৩: আত্মবিশ্বাস
যা বলবে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলবে। দ্বিধা নিয়ে কিছু বলা উচিৎ নয়। বক্তাকে দ্বিধান্বিত দেখলে শ্রোতারা বক্তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। আর যা বলছো, সেই কথাটি বলার সময় আত্মবিশ্বাসের কারণটি ও বলা যেতে পারে। ইংরেজি তে বক্তব্য দিতে হলে কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলব এই বিষয়ে বেশি ভাবা যাবে না।
সুন্দর করে কথা বলার কৌশল ৪: সুস্পষ্ট মতামত প্রয়োগ কর
কখনোই এমন কোন কথা বলা উচিত নয় যেটিতে মানুষ খুব বিব্রতবোধ করে কিংবা বিষয়বস্তুর সঙ্গে একদমই খাপ খায় না। অন্যের কথার মাঝে কথা বলাটা অনেকেই পছন্দ করে না। তবে কথা যদি বলতেই হয় সেটি ভদ্রভাবে বললে সবাই তাতে সাড়া দেবে। যেমন: “Excuse me” বলে বক্তার কথার সাথে কিছু যোগ করা যেতে পারে কিংবা সেই বিষয়ে কোন ব্যক্তিগত মতামতও দেয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুন: কীভাবে উপস্থাপনা শুরু করতে হয়? জেনে নাও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা কৌশল
ইংরেজি ও বাংলা কথা বলার কৌশল ৫: পরিবেশ পরিস্থিতির দিকে খেয়াল কর
পরিবেশ পরিস্থিতি সব সময় এক থাকবে না। সেই পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কথা বলতে হয়। একটি আলোচনার ক্ষেত্রেও পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। কখনো হাসির সময় আসে আবার কখনো কঠোর সময় আসে কিংবা অনেক সময় অনেক গম্ভীর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সব পরস্থিতিতে সব কথা মানায় না। নির্দিষ্ট সময়পোযোগী মন্তব্য করাই ভাল ।
ইংরেজি ও বাংলা কথা বলার কৌশল ৬: মূল বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখো
কথা বলার সময়, সবসময় মূল বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় কথা বলতে বলতে বক্তা মূল বিষয় থেকে সরে পড়ে। তখন শ্রোতারা খুব বিরক্তবোধ করে। কারণ তারা তাদের মূল্যবান সময় গল্পে নষ্ট করতে চান না। দরকার হলে লিখে রাখতে পারো যেটি নিয়ে কথা বলতে চাও। তাহলে বক্তব্যগুলো মূল বিষয়ের মধ্যেই চলে আসবে।
ইংরেজি ও বাংলা কথা বলার কৌশল ৭: Gap দিয়ে কথা বলো
কথা বলার সময় একটু gap দিয়ে কথা বললে শ্রোতাদের বুঝতে সুবিধা হয়। বেশি তাড়াতাড়ি কথা বলা খুব বাজে একটি অভ্যাস। এতে শ্রোতাদের ও বুঝতে কষ্ট হয়। Gap দিয়ে কথা বললে মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্বও দেয়া যায়। অন্যদিকে ধীরগতিতে কথা বললে শ্রোতারা বিরক্তবোধ করে এবং শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, মধ্যবর্তী একটি মাপ বেছে কথা বললে শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায়। কথা বলার সময় গুরুত্ব অনুযায়ী কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করা যেতে পারে। এটিও একটি কার্যকরী কথা বলার কৌশল।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Communication Masterclass by Tahsan Khan
শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার নিয়ম ও করণীয়
শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার নিয়ম ও করণীয় |
|
চলিত ভাষায় কথা বলো |
একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার কৌশল হলো যে ভাষা সবাই বুঝে সে ভাষায় কথা বলা। উচ্চারণ শুদ্ধ করলে কথা শুনতেও অনেক ভালো লাগে । সঠিক বাংলা উচ্চারণ করে তাক লাগিয়ে দেয়া যায়। খুব বেশি দরকার পড়লে উচ্চারণের ওপর কিছু কোর্স ও করা যেতে পারে। |
কোনো সোর্স অনুসরণ কর |
উচ্চারণ সুন্দর করতে কিংবা জ্ঞান আহরণে বিভিন্ন সোর্স অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমনঃ খবর, সিনেমা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। |
বিভিন্ন রকম বই পড় |
জ্ঞান অর্জনে বই এর বিকল্প নেই। উচ্চারণ শুদ্ধ করতে বই এর কঠিন শব্দগুলো জোরে জোরে পড়ে অনুশীলন করা যেতে পারে । |
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সুন্দর করে কথা বলার কৌশল জানলে এটি পুরোটাই নিজের হাতে । নিজস্ব চেষ্টা এবং উপরের গাইডলাইনগুলো অনুসরণ করলে সুন্দর করে কথা বলার কৌশল আসবে নিজের হাতের মুঠোয়।
জনসম্মুখে কথা বলা নিয়ে ভয়?
এইতো আর পাঁচ মিনিট পরেই তোমার পালা। বেশিক্ষণ বাকি নেই মঞ্চে উঠতে, সবার সামনে নিজের বক্তব্য রাখার সময় চলে এসেছে। এটা মনে পড়তেই হুট করে তোমার হৃদস্পন্দন যেন বেড়ে গেলো, হাত-পা কাঁপতে বা ঘামতে শুরু করলো। আমাদের অনেকের মধ্যে জনসম্মুখে কথা বলা নিয়ে ভীতি কাজ করে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘গ্লসোফোবিয়া’। এই সমস্যাটি এড়ানোর জন্য আত্মপ্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই!
আরো পড়ুন: সাবলীল বক্তা হওয়ার জন্য ১০টি কার্যকরী উপদেশ
বর্তমান যুগে পাব্লিক স্পিকিং-এর গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব না। যেকোনো ক্ষেত্রে এই গুণটি তোমাকে হাজার হাজার প্রতিযোগীর মাঝে অনন্য করে তুলবে। যেকোনো আইডিয়া সবার সামনে তুলে ধরতে কিংবা এক সাথে অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে হলে পাব্লিক স্পিকিং -এর দক্ষতা অত্যাবশ্যক। একাডেমিক কাজে প্রেজেন্টেশন দেয়া কিংবা ডিবেট করা, মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস এ অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম জানা। কাজটি যতটা কঠিন মনে হয় আসলে ততটা কঠিন নয়। চাইলে তুমিও হয়ে উঠতে পারো একজন “Elocutionist”!
এজন্য তিনটি শব্দ মনে রাখতে হবে: ১।পরিকল্পনা, ২।প্রস্তুতি এবং ৩।চর্চা। চলো দেখে নেই কিভাবে জনসম্মুখে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন করা যায়।
জনসম্মুখে মুখের জড়তা দূর করার উপায় ১: পরিকল্পনা
যেকোনো কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব না। তবে শুধু পরিকল্পনা করে থেমে থাকলেই চলবে না, কাজে নামতে হবে সেই অনুযায়ী। শুরুতে একটি আউটলাইন তৈরি করে নাও বক্তব্যের। অর্থাৎ বক্তব্যের শুরুটা কী দিয়ে করবে, মাঝের মূল বিষয়ে কী কী পয়েন্ট থাকবে এবং শেষে উপসংহার কী দিয়ে টানবে। বক্তব্য যদি ইংরেজিতে হয়, তাহলে শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম জেনে নাও।
শুরুতে বিষয় সম্পর্কিত যেকোনো মনীষীর উক্তি কিংবা গল্প দিয়ে শুরু করলে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তাছাড়া গুরুগম্ভীর কথার চেয়ে হাস্যরসপূর্ণ কথা শ্রোতাকে বেশি আকৃষ্ট করে। তাই শুরুতে একটি ছোট্ট কৌতুক দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। অবশ্যই তা মূল বক্তব্যের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। এরপর তথ্য বহুল কিংবা বিশ্লেষণ নির্ভর আলোচনাগুলোকে সাজিয়ে নাও।
তবে মূল তথ্যগুলো সাজানোর সময়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ অনুযায়ী বাছাই করতে হবে। এরপর অধিক জরুরি তথ্যগুলোকে বক্তব্যের প্রথম দিকে সাজিয়ে নিতে হবে। অনেক সময়ে দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বক্তা তার পুরো বক্তব্য শেষ করতে পারেন না, অধিক প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো শেষে বলার পরিকল্পনা থাকায়। তাই সময়ের মধ্যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে তুলে ধরার জন্য সেগুলো প্রথমার্ধে বলার চেষ্টা করতে হবে।
মঞ্চে উঠে আমরা অনেক সময়েই লিখিত বক্তব্যটি ভুলে যাই। এক্ষেত্রে বক্তব্যকে পয়েন্ট আকারে খসড়াভাবে লিখে ফেলতে পারো। পুরো বক্তব্য মনে রাখার চেয়ে পয়েন্ট মনে রাখা বেশি সুবিধাজনক। খসড়া দেখে দেখে বক্তব্য দেয়া একজন বক্তার অন্যতম দুর্বলতা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাছাড়া এতে শ্রোতা একঘেয়ে বোধ করে। তাই চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব না দেখে সাবলীলভাবে কথা বলার অভ্যাস করা।
প্রয়োজনে লিখিত পয়েন্টগুলো সামনে রাখা যেতে পারে। এতে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো যাবে। তাছাড়া বক্তব্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে দর্শকের জন্য কিছু প্রশ্ন টুকে রাখতে পারো কাগজে। প্রশ্ন করার ফলে দর্শক শুধু একঘেয়েমিভাবে বক্তব্য শুনবে না বরং নিজেরাও চিন্তা করার সুযোগ পাবে। দর্শকের মতামতকে গুরুত্ব দিলে পুরো উপস্থাপনাটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
প্রস্তুতির বিশেষ একটি অংশ হলো গভীরভাবে পড়াশোনা করা। যেই বিষয়ে কথা বলতে হবে, সেই বিষয়টি সম্পর্কে যত গভীরভাবে জানবে ততই তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তাছাড়া শ্রোতার নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় একজন বক্তাকে। সেক্ষেত্রে ঐ বিষয়ে গভীর জ্ঞান সেসকল প্রশ্নের উত্তর সাবলীলভাবে দিতে সহায়তা করবে।
বক্তব্য যাতে একঘেয়ে না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট ‘রোডম্যাপ’ অনুসরণ করতে হবে এবং একটি সুনির্দিষ্ট গন্তব্য নির্ধারণ করতে হবে। সেই গন্তব্যকে সামনে রেখে বক্তব্য প্রস্তুত করতে হবে। প্রস্তুতির আরেকটি বিশেষ অংশ হলো দেখে দেখে শেখা। এক্ষেত্রে প্রচুর ভিডিও দেখতে হবে। এমন অনেক ইউটিউবার আছেন যারা বাকপ্টু হিসেবে আদর্শ বলে বিবেচিত হন। তাছাড়া দৈনিক অন্তত একটি করে টেডটকের ভিডিও দেখা এক্ষেত্রে অনেকটা সাহায্য করবে।
ভালো উপস্থাপকের দেহভঙ্গি, স্বরভঙ্গি, শব্দচয়ন ইত্যাদি বারবার করে দেখার ফলে তা নিজের আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে অন্য বক্তাকে অনুসরণ করতে করতে আপন ব্যক্তিত্ব যাতে হারিয়ে না ফেলি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনুকরণ না করে অনুসরণ করার চেষ্টা রাখতে হবে। অর্থাৎ সেই বক্তার ভালো দিকগুলো বেছে নিয়ে সেগুলো চর্চা করতে হবে তবে অবশ্যই নিজ স্বকীয়তা ধরে রেখে।
তাছাড়া বক্তব্যের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বা আগ্রহ প্রকাশ করা ভালো বক্তার লক্ষণ। বক্তা যদি আগ্রহ নিয়ে বিষয়টি তুলে না ধরে, তবে শ্রোতাও আগ্রহ নিয়ে শুনবে না। এজন্য হাসিমুখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো ধরণের দ্বিধাগ্রস্থতা প্রকাশ না করে আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
জনসম্মুখে মুখের জড়তা দূর করার উপায় ২: চর্চা
মুখের জড়তা দূর করার উপায় হিসেবে চর্চার কোন বিকল্প নেই। দেখে দেখে বক্তব্য দেয়া পরিহার করতে হবে। স্লাইড বা কাগজ দেখে বক্তব্য দেয়ার ফলে দর্শক দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। চেষ্টা করতে হবে দর্শকের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে এবং শুধু একদিকে নয় বরং সকলের দিকে সমান দৃষ্টি রেখে কথা বলার। এ জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়টি হলো, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস করা। এতে তুমি নিজের দেহভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাছাড়া নিজেই নিজের সমালোচক হিসেবে ভুল-ত্রুটি বের করে সেগুলো সমাধানে সচেষ্ট হতে পারবে।
গলার স্বর ঠিক কতটুকু উঠানামা হবে বা চোখের ভাষা ব্যবহার করে কীভাবে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা যাবে এগুলো দেখতে হবে। এতে করে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে। যেকোনো ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। অস্থিরতা কমানোর জন্য হালকা মিউজিক শোনা, দশ মিনিট যোগব্যায়াম করা কিংবা মেডিটেশন করা যেতে পারে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে সবার সামনে বক্তব্য দেয়া অবস্থায় কল্পনা করে দেখো। এরপর ঠিক যেইভাবে নিজেকে দেখতে চাও ঠিক সেটাকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাও!
আমাদের সমাজে ছাত্রদের মধ্যে গ্লসোফোবিয়া অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। ছোটবেলা থেকে ক্লাসে কথা বলার ভয়ে পেছনের বেঞ্চে লুকিয়ে ছেলে কিংবা মেয়েটি যত বড় হয় ততই বুঝতে পারে যোগাযোগ দক্ষতার গুরুত্ব কত বেশি। এমনকি চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে এই গুণটি সর্বাপেক্ষা প্রয়োজন। সবার সামনে কথা বলার ভয়-ভীতি কাটিয়ে রাতারাতি সাবলীলভাবে বক্তব্য প্রদান করার দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলার প্রচেষ্টা!
কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলব?
আমাদের অধিকাংশেরই একটি সাধারণ সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে যারা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেছি তাদের মাঝে এই সমস্যাটি আরো বেশি প্রকট। আমরা সারা জীবনই ইংরেজির লিখিত ব্যবহার করে এসেছি। আমাদের মুখস্থ শব্দের ভান্ডার সুবিশাল আকৃতির। ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ -গুলো ব্যবহার করে তৈরি করে ফেলতে পারি সুন্দর সুন্দর বাক্যও। সাথে বাক্যগুলো হয় বেশ নির্ভুল। কিন্তু সমস্যাটা বাধে যখন কথা বলতে চাই ইংরেজিতে।
ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে এত এত জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি বলতে গেলে মুখ থেকে দু’টো শব্দের বেশি বের হতে চায় না। পরেরদিন প্রেজেন্টেশন থাকলে কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলব এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসতে চায় না। ইংরেজি শিখার জন্য অগণিত বই, ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনগুলো কোনটাই যেন ঠিকমতো কাজে লাগছে না। কিন্তু এমনটি তো হওয়ার কথা না। ইংরেজি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের তেমন অভাব নেই। তারপরও কেন এত জড়তা?
মজার ব্যাপার হচ্ছে, একটি ভাষা লিখতে পারা এবং বলতে পারার জন্য যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন তা একে অন্যের থেকে বেশ ভিন্ন। ভালো ইংরেজি বলতে পারে এমন একজন সঙ্গীর সাথে নিয়মিত ইংরেজি বলার অভ্যাস গড়ে তুললে এই ভাষায় কথা বলা অনেকটা সহজতর হয়ে উঠবে। তবে যদি আপনার পরিচিত এমন কোন সংগী না থাকে? অথবা আপনি যদি কারো সামনে ইংরেজিতে কথা বলা অনুশীলন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তবে? তাহলেও কোন সমস্যা নেই।
একটি ভাষা সম্পূর্ণরূপে রপ্ত করার জন্য লেখা, পড়া এবং শোনা এই তিনটি কাজের সমন্বয় প্রয়োজন। এই তিনটি কাজ কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজেই করা যায়। চলুন এমন কিছু পদ্ধতি দেখে নেই যার মাধ্যমে অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজেই হয়ে উঠবেন ইংরেজিতে কথা বলায় দক্ষ।
ইংরেজিতে কথা বলার টিপস ১: ইংরেজিতে চিন্তা করুন
নতুন কোন ভাষায় কথা বলা রপ্ত করতে গেলে সর্বপ্রথম যে সমস্যাটির মুখোমুখি আমরা হই সেটি হচ্ছে, সেই ভাষায় চিন্তা করতে না পারা। আপনি যদি আপনার মাতৃভাষায় একটি কথা চিন্তা করেন এবং ইংরেজিতে সেই কথাটি বলতে যান, তাহলে আপনাকে মনে মনে মাতৃভাষা থেকে সেই কথাটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার ঝামেলা পোহাতে হবে। এটি শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, নিজে যখন এর সম্মুখীন হবেন তখন সমস্যাটির প্রকটতা বুঝতে পারবেন।
দু’টো ভাষায় দক্ষ, এমন ব্যক্তিরও এই অনুবাদ কাজে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে এই সমস্যার একটি সমাধান বের করতে হবে। সমাধানটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়বস্তু ইংরেজিতে চিন্তা করার অভ্যাস করতে হবে। এটি আপনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনার দিন কেমন গেল সে সম্পর্কে চিন্তা করতে পারেন। অথবা আপনি কী খেতে চাচ্ছেন সে সম্পর্কে চিন্তা করতে পারেন। অর্থাৎ কী নিয়ে চিন্তা করবেন তার কোনো বাঁধা ধরা নিয়ম নেই।
ইংরেজি কোন শব্দের অর্থ না জানলে কিংবা প্রয়োগ না বুঝলে ইংরেজি থেকে ইংরেজি অভিধানগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ইংরেজিতে আপনি আপনার মনের সকল ভাব মাতৃভাষার মতো করেই প্রকাশ করতে শিখবেন। কিছুদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি দেখবেন যে ইংরেজিতে কথা বলা আপনার কাছে পূর্বের চেয়ে সহজ মনে হচ্ছে।
ইংরেজিতে কথা বলার টিপস ২: নিজের সাথে কথা বলুন
যখনই আপনি বাসায় কিংবা অন্য কোন জায়গায় একলা থাকেন তখনই আপনি নিজের সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করতে পারেন। পূর্ববর্তী পদ্ধতি অনুসরণ করে যেহেতু আপনি ইংরেজিতে ভাবতে শুরু করেছেন, সেহেতু সেই ভাবনা গুলোকে জোরে জোরে বলতে শুরু করুন। যদি আপনার ইংরেজি শুদ্ধ করার মতো কেউ না থাকে আশেপাশে, তাহলে জোরে জোরে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করুন। এতে করে আপনি ইংরেজিতে কথা বলায় আরো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন এবং নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারবেন।
ইংরেজিতে কথা বলার টিপস ৩:আয়না ব্যবহার করুন
যখনই সময় পান একটি নির্দিষ্ট বিষয় পছন্দ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ুন এবং কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কথা বলতে শুরু করুন। কথা বলার ভাষা যেন অবশ্যই ইংরেজি হয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে এতে করে আপনি আপনার মুখ, চেহারা এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দেখতে পারবেন। এতে করে আপনি আপনার প্রকাশভঙ্গি আরো সুন্দর করতে পারবেন এবং আপনার কাছে মনে হবে যে আপনি অপর একজনের সাথে কথা বলছেন। চর্চা ছাড়া ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।
দুই তিন মিনিটের যে নির্দিষ্ট সময়সীমা আপনি নির্ধারণ করেছিলেন, সে সম্পূর্ণ সময়সীমা জুড়েই কথা বলতে থাকুন। থামবেন না যেন! যদি কোনো কারণে কোনো একটি শব্দে গিয়ে আটকে যান, তবে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন। ভিন্ন কোনো সমার্থক শব্দ দ্বারা ভুলে যাওয়া শব্দটির কাজ চালিয়ে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষে সেই শব্দটি খুঁজে বের করে তার সঠিক প্রয়োগটি শিখে নিন। এর ফলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের শব্দ গুলো বা বাক্যগুলোতে কথা বলার সময় আপনার সমস্যা হয়।
ইংরেজি কথা বলার টিপস ৪: বাকপটুতার উপর জোর দিন, ব্যাকরণের উপর নয়
খেয়াল করুন, ইংরেজিতে কথা বলার সময় আপনি কতবার আটকে যান। আপনি যতবার আটকে যাবেন আপনাকে ততটা কম আত্মবিশ্বাসী মনে হবে এবং আপনি নিজেও ততটা কম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে শুরু করবেন। এর জন্য আপনি পূর্বে উল্লিখিত পদ্ধতিতে আয়নার ব্যবহার করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় নিজেকে নিজের চ্যালেঞ্জ করুন যে সম্পূর্ণ সময়সীমায় একবারও আটকানো ছাড়া আপনি কথা বলবেন।
এর ফলে যা হবে তা হচ্ছে, আপনার বাক্যগুলো ব্যাকরণগতভাবে সম্পূর্ণ শুদ্ধ হবে না। কিন্তু এটা কোন সমস্যা নয়। সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধভাবে ইংরেজি বলতে না পারলেও আপনি যদি অনর্গল ইংরেজি বলতে পারেন তাহলেও আপনার কথা সবাই বুঝতে পারবে এবং আপনার কথা আরো সুন্দর শোনাবে। অনর্গল ইংরেজি বলা রপ্ত করে ফেললে তারপর আপনি নজর দিতে পারেন আপনার ব্যাকরণ ঠিক করার দিকে। ধীরে ধীরে সেটিও ঠিক হয়ে যাবে।
ইংরেজি কথা বলার টিপস ৫: ইংরেজিতে গান গাওয়ার চেষ্টা করুন
আপনার পছন্দের ইংরেজি গান গুলো শুনে পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করুন। সাধারণ “পপ” জনরার গান গুলো পুনরাবৃত্তি করা শিখে গেলে “র্যাপ” জনরার গান গুলোর দিকে নজর দিতে পারেন। জনরা গুলো আপনার খুব একটা পছন্দ না হলেও আপনার ইংরেজি বলায় এগুলো রাখতে পারে বিশেষ অবদান। কারণ এ ধরনের গান গুলোতে সাধারনত ব্যবহার করা শব্দগুলো নিত্যদিনের ব্যবহার্য ইংরেজি। তবে এ ধরনের গায়কগণ খুব দ্রুত শব্দ উচ্চারণ করেন বলে সহজে আপনি শব্দগুলো বুঝতে পারবেন না। তবে একবার যদি আপনি শব্দগুলো বুঝতে সমর্থ হয়ে যান, তবে আপনি ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার দিকে একধাপ এগিয়ে গেলেন।
শুদ্ধভাবে ইংরেজিতে কথা বলা
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ১: কঠিন শব্দ উচ্চারণ করতে শিখুন
কঠিন শব্দ বলতে সেসকল শব্দকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো দ্রুত বলতে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাত্যহিক জীবনে ইংরেজি বলার সময় ব্যবহার্য এ শব্দগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এগুলো নিয়মিত বলার অনুশীলন করুন। এ ধরনের কঠিন শব্দগুলো দ্বারা গঠিত বাক্য নিয়ে কিছু খেলা রয়েছে। সেই বাক্যগুলো কে কতবার শুদ্ধভাবে পুনরাবৃত্তি করতে পারে তার উপর বিজয়ী নির্ধারিত হয়। এ ধরনের খেলা গুলোতে অংশগ্রহণ করুন। এর ফলে এ কঠিন শব্দ গুলোকে কিভাবে সহজে উচ্চারণ করতে হয় তা আপনি শিখে ফেলতে পারবেন। ফলে দূর হয়ে যাবে আপনার জড়তা।
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ২: শুনুন এবং পুনরাবৃত্তি করুন
আমরা যারা ইংরেজি টিভি সিরিজ দেখি অথবা ইউটিউবে ইংরেজি ভিডিও দেখি, তারা এ অনুষ্ঠানগুলোর ব্যবহার করে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে পারি। যেকোনো একটি অনুষ্ঠান থেকে কয়েকটি লাইন নির্বাচন করুন। লাইনগুলো একাধিকবার ভালো করে শুনুন। সেই লাইনগুলো অনুষ্ঠানটিতে ব্যবহার করা স্বর, দ্রুততা এবং স্বরভঙ্গি এর অনুকরণ করে পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করুন। দু একটি শব্দ ভুলে গেলেও বড় কোন সমস্যা নেই। তবে খেয়াল রাখবেন যেন আপনি আটকে না যান। অনর্গল কথা বলতে থাকুন এবং অনুষ্ঠানের বক্তার মত করে বলতে চেষ্টা করুন। এতে কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে গেলে সাবটাইটেল বন্ধ করে শুধু শুনে শুনে কথাগুলো পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার দক্ষতা বেড়ে যাবে এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষ মানুষদের মত করে কথা বলতে শিখে যাবেন।
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ৩: কোন শব্দে কোথায় জোর প্রদান করা হয়েছে তা খেয়াল করুন
ইংরেজি ভাষা একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে দেখতে একই শব্দ উচ্চারণের সময় ভিন্ন জায়গায় জোর প্রদান করার কারণে অর্থ ভিন্ন হয়ে যায়। যেমন ধরুন, “অ্যাড্রেস” শব্দটিতে আপনি যদি “অ্যাড” এর উপর বেশি জোর প্রদান করেন তাহলে এর দ্বারা বুঝাবে কোন একটি ঠিকানা কে। আবার যদি এই একই শব্দের “ড্রেস” অংশটির উপর আপনি বেশি জোর প্রদান করেন তাহলে এর মানে দাঁড়াবে কাউকে উদ্দেশ্য করা। তাই কোন শব্দের ক্ষেত্রে কোন স্থানে উচ্চারণের সময় জোর প্রদান করলে কি অর্থ দাঁড়ায় সেটি জানতে হবে।
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ৪: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলোর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করুন
আমাদের অধিকাংশই ইংরেজি শিখি বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে। যেমন ধরুন চাকরির ইন্টারভিউর জন্য। এরকম নির্দিষ্ট পরিস্থিতির জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে আপনি সহজেই সেখানে ইংরেজি বলতে পারবেন। যেমন ধরুন ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে আপনি যদি সাধারন প্রশ্নগুলো বের করে সেগুলোর উত্তর ইংরেজিতে অনুশীলন করতে থাকেন, তাহলে ইন্টারভিউতে গিয়ে আপনার কথা বলার সময় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বেড়ে যাবে আপনার আত্মবিশ্বাস।
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ৫: ভয় না পেয়ে শিথিল হন
ইংরেজি কথা বলার সময় আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমরা ভাবতে শুরু করি যে আমাদের কেমন শোনাচ্ছে। এতে করে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং কথা বলার সময় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কোথাও আটকে গেলে একটি দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং পুনরায় শুরু করুন। প্রয়োজনে ধীরে ধীরে কথা বলুন। পরবর্তী বাক্য বলার জন্য প্রয়োজনে চিন্তা করার জন্য একটু সময় নিন। নিজেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করাতে যা করা প্রয়োজন তা করুন।
শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ৬: মাতৃভাষার যে কোন গল্প ইংরেজিতে বলুন
আপনার ইংরেজিতে কথা বলা আগের চেয়ে কতটা উন্নত হয়েছে তা বুঝার জন্য মাতৃভাষায় সুপরিচিত একটি গল্প ইংরেজিতে বলতে শুরু করুন। এক্ষেত্রেও শুদ্ধভাবে বলার চেয়ে অনর্গল ইংরেজি বলার দিকে বেশি জোর দিন। প্রতিটি বাক্য জোরে জোরে বলতে থাকুন। এতে করে নিজের বাক্য নিজে শুনে নিজেই তা মূল্যায়ন করতে পারবেন।
এ সহজ পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই যোগ্য হয়ে উঠবেন ইংরেজি ভাষায় কথা বলায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট অধ্যবসায়। সহজে হাল ছেড়ে দিবেন না যেনো। সাফল্য ছোঁয়া দিবেই একসময়।
ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ
দুই পাতা ইংরেজি পড়তে গিয়ে চার পাঁচবার ডিকশনারি খুলে অর্থ খুঁজতে খুঁজতে কি আপনি ক্লান্ত? ইংরেজিতে বলতে গিয়ে বুঝতে পারেন না কখন কোন শব্দ ব্যবহার করতে হবে? সঠিক শব্দ ব্যবহার করে ইংরেজিতে কথা বলার সহজ উপায় খুজছেন? সব মিলিয়ে, আপনি কি আপনার ভোকাবুলারি স্কিল নিয়ে চিন্তিত? তাহলে টেন মিনিট স্কুলের ‘সবার জন্য ভোকাবুলারি’ কোর্সটি আপনার জন্যই।
কথোপকথন কিংবা অফিসের কাজে ইংরেজি আমাদের প্রধান ভাষা না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজি ভোকাবুলারিতে অনেকের দুর্বলতা থাকে। এর ফলে আমরা প্রায় সময় ইংরেজি কথোপকথন, বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়ে শব্দ খুঁজে পেতে অস্বস্তিবোধ করি। এছাড়াও, ভোকাবুলারি স্কিল ভালো হলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা যায়।
তাই, এই কোর্সটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থী নিজের ইংরেজি ভোকাবুলারির ভিত শক্ত করতে পারেন। কোর্সটিতে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে থাকছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Applied Linguistics and Second Language Acquisition বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা মুনজেরিন শহীদ। নিজের ইংরেজি ভোকাবুলারি উন্নত করতে আজই এনরোল করুন “সবার জন্য Vocabulary” কোর্সে। ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ শিখুন, আপনার ইংরেজি শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করুন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই শব্দগুলো প্রয়োগ করা শিখুন।
কোর্সটি করে যা শিখবেন
- মুখস্থ করা ছাড়াই ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় অসংখ্য শব্দ খুব সহজেই মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি।
- বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলা।
- ফ্ল্যাশকার্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন টিপস ও ট্রিকসের মাধ্যমে কঠিন ইংরেজি শব্দগুলো মনে রাখার কৌশল।
এই কোর্সে যা যা থাকছে:
- দ্রুত ও সহজ পদ্ধতিতে ইংরেজি শব্দ আয়ত্ত করার কৌশল ও ইংরেজিতে কথা বলার সহজ উপায়।
- নতুন শেখা শব্দ প্রয়োগ করার নিয়ম।
- ইংরেজি কথোপকথনে দক্ষ হওয়ার কৌশল।
- বাক্যগঠনে সঠিক শব্দ ব্যবহার করার নিয়ম।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- ঘরে বসে Freelancing Course
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadik and Sadman Sadik)
- T-Shirt Design করে Freelancing Course
- SEO Course for Beginners
- Web Design Course
- Cartoon Animation Course by Antik Mahmud
- Graphic Designing Course with Photoshop (by Sadman Sadik)
- Adobe Illustrator Course
- Wedding Photography Course by Prito Reza (Founder, Wedding Diary Bangladesh)
আপনার কমেন্ট লিখুন