পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমরা অনেক কিছুই শিখছি। তবে যা কিছুই শিখি না কেন, তার খুব কমই আমাদের মনে থাকে। হিসেব করলে দেখা যাবে নিজের অর্জন করা জ্ঞানের ১০ শতাংশও আমাদের মনে থাকে না। কিন্তু কেন? এর কারণ হচ্ছে, আমাদের মস্তিষ্ক প্রধানত কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। আর নতুন তথ্যগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি রূপে মস্তিষ্কে জমা হয়ে থাকে।
এই ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিগুলো যখন বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়, তখন তা মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয়। তাই নতুন শেখা জিনিসগুলোকে পুনরাবৃত্তি করা না হলে আমরা তা ভুলে যাই।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Data Entry দিয়ে Freelancing
আচ্ছা, এই ভুলে যাওয়া বা মনে না থাকার সাথে কি অঙ্ক বা গণিতের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে? ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কি গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? ১৮৮৫ সালে Hermann Ebbinghaus নামক একজন জার্মান বিজ্ঞানী একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধারণা করেন মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই সূত্রটি প্রদান করেন তিনি। সূত্রটি হচ্ছে:
R =e–t/s
এখানে, R = মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা
T = সময়
S = স্মৃতির আপেক্ষিক শক্তি
তিনি সূত্রটিকে একটি লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন, যা Ebbinghaus Forgetting Curve নামে পরিচিত।
এই গ্রাফ অনুযায়ী, আমরা যখন নতুন কোন জিনিস শিখি তা ঐ মুহূর্তে অর্থাৎ শেখার পরপর পুরো ১০০% মনে থাকে। কিন্তু ২০ মিনিট পর তার মাত্র ৫৮% মনে থাকে। এভাবে ৬ দিন পর দেখা যায় কেবল ২৫% মনে আছে। বাকি অধিকাংশ জিনিসই আর মনে পড়ছে না। কারণ, এগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি হিসেবে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত ছিল।
কোন বিষয়কে অনেক দিন পর্যন্ত মনে রাখার জন্য তা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসেবে মস্তিষ্কে রাখতে হয়। জোর করে কিছু মনে রাখার চেষ্টা করলে তা সহজেই ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেননা, মস্তিষ্ক যে কোন তথ্যকে স্মৃতিতে রূপান্তর করতে কিছুটা সময় নেয়। জোর করে মনে রাখতে গেলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
কোন জিনিস শিখে নিজের মত গল্প বানিয়ে মনে রাখা যায়
তাই আমরা যা কিছুই শিখি না কেন, তার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এর ফলে তা মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হবে। যে সময়টাতে পুনরাবৃত্তি করা হয় তাকে “মেমরাইজেশন পিরিয়ড” বলে। “মেমরাইজেশন পিরিয়ড” যত বেশি হবে, তত বেশি তথ্যটি আমাদের মনে থাকবে।
“মেমরাইজেশন পিরিয়ড” বাড়ানোর কিছু উপায়:
১। বুঝে শেখা:
কোন জিনিস বুঝে শিখলে তা না বুঝে মুখস্ত করার চেয়ে ৯ গুণ বেশি মনে থাকে।
২। প্রাধান্য দেয়া:
সবার আগে যে জিনিস শেখা হয় তা বেশি মনে থাকে। একে বলে সিরিয়াল পজিশন ইফেক্ট। তাই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি সবার আগে শিখতে হবে।
৩। রেকর্ড করা:
নিজের শেখা জিনিসগুলো রেকর্ড করে রেখে পরে যদি কয়েকবার শুনা হয় তাহলে “মেমরাইজেশন পিরিয়ড” বাড়ে। ফলে বিষয়টি অনেকদিন মনে থাকে।
৪। গল্পে গল্পে শেখা:
কোন জিনিস শিখে নিজের মত গল্প বানিয়ে মনে রাখা যায়।
৫। মাইন্ড প্যালেস:
এটি মনে রাখার অন্যতম সহজ উপায়। কোন জিনিস শিখে কিছু সময় পর তা মনে করে নিজেকে বলা। কতটুকু মনে আছে তা যাচাই করা। ভুলে গেলে আবার নতুন করে শেখা একেই বলে মাইন্ড প্যালেস। “মেমরাইজেশন পিরিয়ড” বাড়াতে মাইন্ড প্যালেস বেশ কার্যকর।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Personal Fitness
চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি না থাকলে অবশ্য কোন উপায়ই কাজে দেবে না। তাই নিজের ইচ্ছায় এই উপায়গুলো প্রয়োগ করলে তবেই বাড়বে স্মরণশক্তি, তুমিও হয়ে উঠবে সেরাদের সেরা!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন