পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও ।
সি প্রোগ্রামিং শেখার আগে আমাদের জানতে হবে কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে। মানুষের ব্রেইন যেভাবে কাজ করে কম্পিউটারও ঠিক সেভাবেই কাজ করে। যেমন আমরা চোখ দিয়ে কিছু দেখার পর বা কান দিয়ে শোনার পরই কেবলমাত্র আমাদের মস্তিষ্ক বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করতে পারে। তারপর মস্তিষ্ক একটা ডিসিশানে পৌছালে আমরা আমাদের হাত অথবা পা দিয়ে মস্তিষ্কের সিদ্ধান্তকে কার্যকর করি।
Programming for kids
কোর্সটি করে যা শিখবেন
এবার বিষয়টাকে একটু কম্পিউটারের চোখে দেখি। চোখ দিয়ে কোন কিছু দেখা বা কান দিয়ে কোন কিছু শোনা মানেই হল ইনপুট দেয়া। আর মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হল প্রসেসিং। আর হাত পা দিয়ে কাজ সমাধান করা হল আমাদের আউটপুট। সুতরাং, সি থেকে শুরু করে যে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এমনকি পৃথিবীর সব কাজই এই ফর্মুলা অনুসরণ করে।
Input -> Processing-> output!
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের কি দরকার?
কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে তা না হয় জানলাম। কিন্তু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কেন?
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হল এমন একটি ল্যাংগুয়েজ যার মাধ্যমে কম্পিউটারকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। জেনে অবাক হলেও ঘটনা সত্যি যে কম্পিউটার কেবলমাত্র ০ আর ১ ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাহলে কি কম্পিউটারকে সব নির্দেশ ০ আর ১ ব্যবহার করে দিতে হবে? তাহলে কিন্তু প্রোগ্রাম লেখা মারাত্মক জটিল হয়ে যাবে।
ভরসার কথা এই যে প্রথমদিকে শুধুমাত্র ০ আর ১ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লিখলেও পরবর্তীকালে এই জটিলতা থেকে মুক্তির জন্য প্রতিটা ইন্সট্রাকশনকে রূপক নাম দিয়ে(যেমনঃ ADD, SUB, etc) ব্যবহার করা শুরু হল। একে বলা হয় Assembly ল্যাংগুয়েজ। পাশাপাশি তৈরী করা হয় Assembler নামক সফটওয়্যার যা রূপক ইন্সট্রাকশনকে অটো মেশিন ল্যাংগুয়েজে রূপান্তর করে নেয়।
কিন্তু এই Assembly ল্যাংগুয়েজেরও সমস্যা আছে। এখানে প্রোগ্রাম লিখতে হলে মেশিন সম্পর্কে অনেক বেশি জানে এমন লোকরাই প্রোগ্রাম করতে পারবে। তাহলে আমি বা আপনি কিভাবে করব?
আমাদের সুবিধার জন্যই আস্তে আস্তে ডেভেলপররা একটু হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ যেমন সি, সি++, জাভা ইত্যাদি আবিষ্কার করে যাতে আমাদের মেশিন সম্পর্কে অত বিস্তারিত না জানলেও চলে।
ঘরে বসে Freelancing
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
সি প্রোগ্রামের স্ট্রাকচার
সি একটি মিড লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এর মেইন পার্ট মূলত তিনটি।
১। হেডার ফাইল।
২। main() ফাংশন
৩। Others ফাংশন।
এক বা একাধিক ফাংশানের সমন্বয়ে সি প্রোগ্রাম গঠিত হয়। প্রত্যেকটি সি প্রোগ্রামে main() নামের একটা ইউজার ডিফাইন্ড ফাংশান থাকে। একটি ছোট সি প্রোগ্রাম এভাবে লেখা যায়ঃ
main()
{
// C is a case sensitive programming language
}
বলে রাখা ভাল তুমি যদি main() এর যায়গায় Main() লিখ তাহলে তোমার কম্পাইলার(যেটায় সি প্রোগ্রাম লিখবে) এরর দিবে। আবার কিছু কিছু যায়গায় তোমাকে সেমিকোলন দিতে হবে। সেমিকোলনের যায়গায় কমা দিলে বা সেমিকোলন না দিলেও এরর দিবে।
যেমন তুমি main() ফাংশানটার ভেতর যে ইন্সট্রাকশন দিতে চাও তার শেষে সেমিকোলন দিতে হবে। ধরা যাক তুমি একটি লাইন প্রিন্ট করতে চাচ্ছ। সেক্ষেত্রে তোমাকে printf() ফাংশনটি ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: প্রোগ্রামিং এর হাতেখড়ি (পর্ব-১)
আগেই বলেছি সি প্রোগ্রামে একটি হেডার ফাইল ডিক্লেয়ার করতে হয়। হেডার ফাইল ডিক্লেয়ার করার প্রসেস হচ্ছে,
#include<header file>
অনেক কিছু আমরা জানলাম। এবার একটা প্রোগ্রাম রান করে প্রোগ্রামিং এর পার্ট শুরু করা উচিত। যেকোন কম্পাইলার দিয়ে তুমি সি প্রোগ্রামিং শুরু করতে পার। টার্বো সি, কোডব্লকস যে কোন কিছু। তোমার কম্পিউটারে যদি কোডব্লক সফটওয়্যার না থাকে তুমি খুব সহজেই নেট থেকে নামিয়ে নিতে পার।
http://www.codeblocks.org/downloads
এই ঠিকানায় গিয়ে ডাউনলোড বাইনারি রিলিজ এ গিয়ে নামিয়ে ইন্সটল করতে পার।
কোড-ব্লকস ইনস্টল হলে নিউ প্রজেক্ট ওপেন করলে দেখবে এরকম একটা উইন্ডো এসেছে।
সেখান থেকে Console application এ ক্লিক করলে প্রোগ্রামের নাম লিখে লোকেশন সেভ করলেই প্রোগ্রাম লিখার নতুন উইন্ডো চলে আসবে।
অথবা ফাইল থেকেও তুমি নতুন প্রজেক্ট খুলতে পার।
কম্পিউটার কেবলমাত্র ০ আর ১ ছাড়া কিছুই বোঝে না!
এখন আমরা একটি প্রোগ্রাম লিখব। আমাদের লিখা প্রথম সি প্রোগ্রাম!
#include<studio.h>
main()
{
printf(“I am a C programmer”);
)
এভাবে টাইপ করে উপরের সবুজ বাটনে ক্লিক করে প্রোগ্রাম রান করলে আলাদা একটা স্ক্রিনে দেখতে পাবে—
I am a C programmer লেখাটি উঠা।
এভাবেই খুব সহজেই তুমি লিখে ফেলতে পারছ তোমার প্রথম প্রোগ্রাম।
এখন ধরো তুমি দুটি লাইন লিখতে চাচ্ছো। তাহলে কি করবে? খুব সহজ। দুইবার printf() লিখলেই হয়ে যাবে।
#include<studio.h>
main()
{
printf(“I am a C programmer”);
printf(“I am a C programmer”);
)
I am a C programmer I am a C programmer এরকম দুইটি লাইন আউটপুট আসবে।
কিন্তু তুমি চাচ্ছো
I am a C programmer
I am a C programmer এরকম আলাদা আলাদা ভাবে আসুক।
সেক্ষেত্রে তোমাকে কষ্ট করে \n যুক্ত করে দিতে হবে প্রথম লাইনের শেষে। \n মানে হল নতুন লাইন।
#include<studio.h>
main()
{
printf(“I am a C programme\n”);
printf(“I am a C programmer”);
)
আচ্ছা, দ্বিতীয় লাইনের আগে \n যুক্ত করলে কি তুমি তোমার কাঙ্খিত আউটপুট পাবে? নিজেই প্র্যাকটিস করে দেখ না… 😀
প্রথম দিকে লাইনগুলো কপি পেস্ট না করে নিজে বারবার টাইপ করবে। আর পরের পর্বে সি প্রোগ্রামিং এর আরও কিছু সাধারণ বিষয় নিয়ে আসছি। একটা কথা আবারও বলছি, আমি সি প্রোগ্রামিং এর একদম বেসিক, বেসিকেরও বেসিক কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব কয়েকটা পর্বের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে তোমরা প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না আমি জানি। তবে এটাও জানি সব গুলো পর্ব পড়লে হয়ত তোমাদের প্রোগ্রামিং শেখার কিছুটা আগ্রহ তৈরী হবে। আর আগ্রহ তৈরী হলে কিভাবে কত দ্রুত তুমি প্রোগ্রামিং শিখে ফেলবে নিজেও বুঝবে না। 😀
Web Design Course
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Happy Programming.. 😀
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন