পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !
বর্তমানে পৃথিবীতে মোট বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা ১৮১০ জন। ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি সম্পদের মালিককে বিলিয়নিয়ার তকমা দেয়া হয়। শুধুমাত্র টাকার প্রাচুর্য নয়, এসব ধনাঢ্য ব্যক্তিরা অসম্ভব ধী শক্তিসম্পন্ন, তারা প্রতিনিয়ত নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার পেছনে সময় দেন। বিলিয়নিয়াররা কিভাবে সফল হলেন? কোন অভ্যাসগুলো তাদের সবার থেকে আলাদা করেছেন? এই ব্লগে সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আমরা।
বিভিন্ন লেখক-গবেষক অসংখ্য বিলিয়নিয়ারের জীবনী পর্যালোচনা করেছেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বা ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। সেসব অভিজ্ঞতার সারবস্তু হিসেবে বিলিয়নিয়ারদের ৫ মৌলিক অভ্যাস তুলে ধরলাম।
১। তারা সবাই বইপোকা:
ধনকুবেররা বেশ খেয়ালি মানুষ। তাদের কেউ গলফ খেলেন, কেউ স্পোর্টস কার ভালোবাসেন, কেউবা স্কাই ডাইভিং করে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নেন। তবে শত কোটি ক্লাবের প্রায় সকল সদস্যের মধ্যে একটি অভ্যাস দেখা যায়। তারা সবাই নিয়মিত বই পড়েন। মাইক্রোসফটের স্রষ্টা বিল গেটস বছরে অন্তত ৫২ টি বই পড়েন (সপ্তাহে ১ টি)।
৮০ বছর বয়সেও ওয়ারেন বাফেট দিনের বেশীরভাগ সময় কাটান বই পড়ে। আর মার্ক জাকারবার্গ তো গত বছর ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছেন প্রতি ২ সপ্তাহে ১ টি করে বই পড়বেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লেনদেন করেন যারা, প্রতিদিনের ব্যস্ততা থেকে বই পড়ার জন্য সময় বের করা তাদের জন্য নস্যি!
২। ভোরের পাখিরা সফল হয়:
মনোবিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের সফল হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যে ব্যক্তি আর দশজন মানুষের কয়েক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে ওঠে, কর্মস্থলে যাওয়ার আগেই সে অনেক কাজ সেরে নিতে পারে।
তুমি যে কোন বিলিয়নিয়ার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারো, তারা প্রত্যেকেই সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে ওঠেন। টুইটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোরসে ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে ওঠেন। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচারড ব্র্যানসন ৫ঃ৪৫ এর মধ্যে বিছানা ছাড়েন। নিজের ব্যক্তিগত দ্বীপ থাকায় ভোরবেলায় সমুদ্রে সাঁতার কাটেন তিনি।
৩। ব্যায়ামবীর বড়লোক:
সফল মানুষেরা সবসময় প্রোডাক্টিভ থাকতে চায়। কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতার সাথে কাজ শেষ করা যায়- পরিশ্রমীরা সেই চেষ্টাই করে। তবে পরিশ্রম বা তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তির মূলে রয়েছে নিয়মিত শরীরচর্চা।
প্রতিদিন সকালে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীর এবং মন স্বতস্ফুর্ত হয়। বিজ্ঞান বলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে চিন্তনশক্তি ও উদ্যম ধারালো হয়। বিলিয়নিয়ারদের যেমন দামী স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট থাকে, তেমনি থাকে ব্যক্তিগত জিমনেশিয়াম। প্রতিদিন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো তাদের রুটিনের প্রথম কাজ।
কাজকে ভালবাসতে পারলে কাজ প্রতিদান দেয়
৪। যদি লক্ষ্য থাকে অটুট:
লক্ষ্য স্থির করতে না পারলে কখনো গন্তব্যে পৌছানো যায় না। লটারি পেয়ে কেউ বিলিয়নিয়ার হয়নি। নিষ্ঠা আর নিরন্তর পরিশ্রমই বিল গেটসদের সেরাদের কাতারে নিয়ে গেছে। আর সে জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ। কোটিপতিরা সকালে উঠেই তাদের সারাদিনের শিডিউল তৈরী করে নেন। হাতে লেখা শিডিউল অনুসরণ করা সহজ, এতে গভীর মনঃসংযোগ করা যায়।
৫। প্যাশনকে ভালোবাসা:
– “You’ve got to find what you love”
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তৃতায় এমনটাই বলেছিলেন স্টিভ জবস। যে জিনিস মানুষ ভালোবাসে না, সেটা করলে সফল হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কাজকে ভালবাসতে পারলে কাজ প্রতিদান দেয়। নিজের ভালোবাসার জিনিস নিয়ে সংগ্রাম করেছিলেন বলেই বিলিয়নিয়ারদের এত প্রাচুর্য। প্যাশনকে ভালোবাসা জরুরি, এতে সাফল্যের রাস্তাটা উপভোগ্য হয়।
বিভিন্ন ম্যাগাজিনের কভারে যেসব নামকরা বিলিওনিয়ারদের আমরা দেখি, তাদের ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে জানলাম। এসব অভ্যাস রপ্ত করলেই যে বিলিয়নিয়ার হতে পারবে, সে কথা দিতে পারছি না। তবে তোমার জীবন অনেকটাই বদলে যাবে, ট্রাস্ট মি!
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন