আমরা যখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলাম, পশ্চিমারা তখন বাঁদরের চেয়ে সামান্য উপরে ছিল।
~ হুমায়ূন আহমেদ (নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ)
ইউরোপীয় সভ্য মুখোশের আড়ালে অসভ্য শাসকদের ক্ষমতার লোভের বলি হতে হয় কোটি কোটি মানুষকে। অস্ট্রো-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের অন্যায় দখলদারিত্ব, গণহত্যা, সীমাহীন নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার হরণের প্রতিক্রিয়ায় বসনিয়া জুড়ে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও বিক্ষোভের শিকার হয়ে অস্ট্রীয় যুবরাজ ফার্দিনান্দ ও তার স্ত্রী সোফির মৃত্যু হয়। ১৯১৪ সালের ২৮ জুনের এ ঘটনার জের ধরে ঠিক তার এক মাস পর, অর্থাৎ ২৮ জুলাই অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে, ৫ জুলাই অস্ট্রিয়া জার্মানির সমর্থন কামনা করলে জার্মানি সামরিক সমর্থনের নিশ্চয়তা দেয়। বিশ্বযুদ্ধ তখন শুরু হবে-হবে করছে।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে সার্বিয়ার মিত্র দেশ রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ শুরু করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় জার্মানি, রাশিয়াকে সৈন্য সমাবেশ বন্ধ করার জন্য সতর্ক করে। রাশিয়া জবাবে জানায়, সৈন্য সমাবেশ কেবলই অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে।
জার্মানির সতর্কবার্তা কানে না তোলায় ১ আগস্ট জার্মানি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। দু’টি বৃহৎ পরাশক্তি পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় ধ্বংসলীলা নিশ্চিত হয়ে ওঠে তত দিনে।
অটোম্যানদের সাথে জার্মানির একটি গোপন মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে ইউরোপীয়ানদের যুদ্ধে মুসলিমদের জড়িত হওয়া অনিবার্য হয়ে ওঠে। ইতালি নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দেয়। এর দুদিন পর, ফ্রান্স-লুক্সেমবার্গ সীমান্তের কাছাকাছি একটি লংওয়ে জার্মানির দখলে চলে আসে, ফলে ফ্রান্স আক্রমণ করা জার্মানির জন্য সহজ হয়ে পড়ে। জার্মানি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এদিকে বেলজিয়াম তাদের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে ফ্রান্স অভিযানের জন্য জার্মান সৈন্যদের অবাধ যাতায়াতের নিশ্চয়তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে জার্মানি বেলজিয়ামের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
পরদিন জার্মানি বেলজিয়াম আক্রমণ করে। ব্রিটেন এর প্রতিবাদ জানায়, কেননা বেলজিয়ামের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতোমধ্যেই একটি চুক্তি হয়েছিলো। জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর উদ্ধতভাবে জানান, সিফন দে প্যাপিয়ার, অর্থাৎ এটি একটি কাগজ মাত্র। ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। একই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে।
পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যে মন্টিনিগ্রো ও ফ্রান্স অস্ট্রিয়া-জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আগস্টের ২৩ তারিখে মিত্রশক্তিতে যোগ দেয় এশিয়ান পরাশক্তি জাপান, জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মিত্রশক্তিতে যোগ দেয়। ব্রিটেনের উপনিবেশ দেশগুলো থেকে সৈন্যরা মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও এ সময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
অটোমানরা কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই রাশিয়ার বন্দর ওডেসা, সেবাস্তোপোল, নোভোরোসিকে বোমা বর্ষণ করে এবং বেশ কয়েকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। নভেম্বরের ৫ তারিখে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া একযোগে অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বিশ্বযুদ্ধ আরো জটিল হয়ে ওঠে।
জার্মানি প্রথম কয়েক মাসেই বেলজিয়াম দখল করে নেয়। ফ্রান্সের দিকে অগ্রসর হলেও ফরাসি সেনাবাহিনীর সামনে টিকতে পারেনি জার্মানি। ১৯১৫ সালে রাশিয়া আক্রমণ করে ইউক্রেন ও ক্রিমিয়া দখল করে জার্মানরা। পরবর্তীতে রুশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় জার্মানি আক্রমণের চেষ্টা করলেও সে চেষ্টা সফল হয়ে ওঠেনি। অটোম্যানরা দার্দানেলিস প্রণালী বন্ধ করে দিলে মিত্রশক্তি দার্দানেলিস দখলের চেষ্টা চালায় এবং অটোম্যানদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।
১৯১৭ সালে মিত্রশক্তির ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে থাকে। জার্মান বাহিনী বেলজিয়াম, সার্বিয়া, রুমানিয়া, পোল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্স দখল করে রাশিয়া ও ইতালিকে কোণঠাসা করে ফেলে। এ সময় রাশিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পূর্ব রণাঙ্গনের যুদ্ধ পরিস্থিতির মোড় সম্পূর্ণরূপে ঘুরিয়ে দেয়। বলশেভিক বিপ্লবের ফলে বিপ্লবী সোভিয়েত সরকার জার্মানির সঙ্গে ব্রেটলিটভস্কের সন্ধি সাক্ষর করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়।
জার্মান নৌবাহিনীর সাথে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর যুদ্ধে জার্মান নৌবাহিনীর পরাজয় ঘটে, এবং জার্মানির অধিকাংশ যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়। ব্রিটিশদেরও অনেক যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ যুদ্ধে জার্মান নৌবহর বিধ্বস্ত হলে জার্মান নৌবাহিনী বেপরোয়া হয়ে সাবমেরিন আক্রমণ শুরু করে। সাবমেরিন আক্রমণের মাধ্যমেই জার্মান ব্রিটিশ ব্যতীত যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ যাত্রীবাহী জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজের ক্ষতি সাধন করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছিলো। কিন্তু জার্মানি বেপরোয়া হয়ে ব্রিটেনের সাথে সাবমেরিন যুদ্ধ শুরু করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও কয়েকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। এরপর জার্মান সাবমেরিনের আঘাতে মার্কিন যাত্রীবাহী জাহাজ আক্রান্ত হলে এক হাজার যাত্রীসহ জাহাজ ডুবে যায়।
১৯১৭ সালের ৬ এপ্রিল জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মিত্রশক্তির পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জার্মানি পূর্ব রণাঙ্গন থেকে পশ্চিম রণাঙ্গনে সৈন্য সরিয়ে নিয়ে আবার ফ্রান্স ও বেলজিয়াম আক্রমণ করে। এমন সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে অংশগ্রহণ যুদ্ধের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশগ্রহণের ফলে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বিরুদ্ধে জার্মানের নৌ-অবরোধ সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
১৯১৮ সালে জার্মানি সামরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে সর্বশেষ চরম অভিযানের প্রস্তুতি নেয়। জার্মান বাহিনী পরপর তিনটি প্রচণ্ড আক্রমণ করে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। জার্মানি তার চূড়ান্ত অভিযানে সর্বশক্তি নিয়োগ করে হতবিহ্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ১৯১৮ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রিটেন ও অটোম্যানরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। জার্মানির অভ্যন্তরে নৌবাহিনী ও বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এমতাবস্থায় জার্মানির সম্রাট কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম প্রবল গণ অসন্তোষ ও বিদ্রোহের মুখে শেষ পর্যন্ত সিংহাসন ত্যাগ করে হল্যান্ডে পালিয়ে যায়। জার্মানিতে প্রজাতান্ত্রিক সরকার স্থাপিত হয়। ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রজাতান্ত্রিক সরকার মিত্রশক্তির সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করলে ১ম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে। মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মত এত বড় প্রলয়ঙ্করী বিশ্বযুদ্ধে অবশেষে বিজয়ী হয় মিত্রশক্তি।
যুদ্ধের প্রভাব
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ৯০ লক্ষ যোদ্ধা ও ৫০ লক্ষ নিরীহ মানুষ নিহত হয়। প্রায় এক কোটি সৈন্য এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ সাধারণ মানুষ আহত হয়। ৭০ লক্ষ মানুষ চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করে। এছাড়া এই সময়কালে ইনফ্লুয়েঞ্জায় বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। এই মহাযুদ্ধে প্রায় ১৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যক্ষ ও ১৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরোক্ষ খরচ হয়। যা ইতিপূর্বে ঘটিত যেকোনো যুদ্ধব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি।
রাজনৈতিক বিপ্লব
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে যায়। বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউরোপ জুড়ে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় জার্মানির। নিজের শক্তির বড়াই করে বিশ্বযুদ্ধ বাঁধানো জার্মানিকে জবরদস্তি চাপিয়ে দেয়া হয় ভার্সাই চুক্তি। জার্মানি ইউরোপে ২৫,০০০ বর্গমাইল এলাকা হারায়, তার বাণিজ্য বন্দরগুলো বিজয়ী মিত্রশক্তিদের জন্য খুলে দেয়া হয়। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামকে বিশাল পরিমাণ কয়লা, রেল ইঞ্জিন ও মোটর গাড়ি দিতে হয় জার্মানিকে। সেই সাথে যুদ্ধাপরাধের দায় হিসেবে তার উপর চাপে ক্ষতিপূরণের বিশাল বোঝা। জার্মানিকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার সকল ব্যবস্থা গৃহীত হয়। রুশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, বলশেভিক বিপ্লবের ফলে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মুসলিম বিশ্বকেও টালমাটাল করে তোলে। মহা শক্তিশালী অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে।মিত্রবাহিনী ইস্তাম্বুল দখল করে নেয়। প্যারিসে শান্তি সম্মেলনে পরিকল্পনার খসড়া প্রণয়ন করে অটোমান সাম্রাজ্যকে খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়, যার অধিকাংশ চলে যায় ফ্রান্স ও ব্রিটেনের দখলে। আনাতোলিয়া ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিস ভাগ করে নেয়। পরবর্তীতে মুস্তাফা কামাল পাশার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফসল হিসেবে ইস্তাম্বুল-আনাতোলিয়াসহ আরো কিছু এলাকা নিয়ে ক্ষুদ্র তুর্কি প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। অটোম্যান সাম্রাজ্য মূলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ইসলামি খিলাফত হিসেবেই, পয়গম্বরের ঝাণ্ডা উত্তোলন করে রেখেছিলো অটোম্যানরাই, অটোম্যান সুলতানগণই ছিলেন ইসলামি বিশ্বের খলিফা। কিন্তু এ বিশ্বযুদ্ধের ফলে মুহম্মদ (স.) এর সময়কাল থেকে প্রায় তেরোশ’ বছর ধরে চলে আসা কেন্দ্রীয় ইসলামি খিলাফত প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত হয়। ফলে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা অভিভাবকবিহীন হয়ে পড়ে। অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অধিকাংশ আরব এলাকা ব্রিটিশ ও ফরাসি সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। পরবর্তীতে একে একে এরাও স্বাধীনতা লাভ করে।
১ম বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদা ও প্রভাব পুরো বিশ্বে বৃদ্ধি পায়। কারণ বিশ্বযুদ্ধের ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নানান অর্থনৈতিক সংকট দেখা যায়। এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে নানানভাবে আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাজনে পরিণত হয়, ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ প্রথম আন্তর্জাতিকতার সূচনা করে। ইউরোপের সংকীর্ণ গণ্ডি অতিক্রম করে গোটা বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যে আন্তর্জাতিক সংস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি তা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গভীরভাবে অনুভূত হয়। ফলে গঠিত হয় লীগ অব নেশন্স। যদিও লীগ অব নেশন্স তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তবুও তা পরবর্তীতে জাতিসংঘ গঠনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
শেষকথা
মানবজাতির ইতিহাসে এক ভয়ংকরতম বিভীষিকার নাম প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। দেড়কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটে, যাদের অর্ধকোটিই ছিলেন নিরীহ মানুষ। প্রায় ৭০ লক্ষ লোকের জীবনের পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে আসে এ যুদ্ধ। তাছাড়া, পৃথিবীর সামগ্রিক রাজনীতিই বদলে দেয় এ যুদ্ধ। সব মিলিয়ে, মানবজাতির ইতিহাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি, কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু, মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে?
রেফারেন্স
http://www.1914-1918.net/faq.htm
https://www.history.com/topics/world-war-i/world-war-i-history
https://www.britannica.com/event/World-War-I
http://avalon.law.yale.edu/20th_century/turkgerm.asp
আপনার কমেন্ট লিখুন