পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।
Google এর নামটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। যে কোন তথ্য জানার জন্য গুগলের কোন বিকল্প নেই। Google এর অনেক ধরনের সেবা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি সেবা হচ্ছে Google keep। যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, হিসাব, রুটিন, হ্যান্ড নোট সহ প্রায় সব কিছুই এ সেবাটির মাধ্যমে টুকে রাখা যায়। বিশেষ করে, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই সেবাটি খুবই কার্যকর। চলুন, জেনে নেই গুগল কিপ ব্যবহারের কিছু উপায়:
১. টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং টু-ডু-লিস্ট:
ছাত্রজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল টাইম ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ সময়মত সব কাজ শেষ করা। আর এই বিষয়টি নিয়েই আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। টাইম ম্যানেজমেন্ট-এর এই কাজটি অনেকাংশেই সহজ করে দেয় গুগল কিপ। এখানে যে কোন অ্যাসাইনমেন্ট-এর ট্র্যাক রাখা যায় এবং সে অনুযায়ী রিমাইন্ডার সেট করা যায়। ফলে যে কোন কাজ সহজেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যায়।
২. বুকমার্কিং:
গুগল কিপ-এ যে কোন ওয়েবসাইট বুকমার্ক করে রাখা যায় এবং সেটি গুগল নোটপ্যাড এ সেভ হয়ে যায়। এর মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী সহজেই যে কোন ওয়েবসাইট, টিউটোরিয়াল এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এখানে সেভ করে রাখতে পারবে।
৩. প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট:
আমরা সবাই কম বেশি প্রজেক্ট করে থাকি। আর ভার্সিটি লাইফে প্রজেক্ট তো নিত্যদিনের সঙ্গী। এই প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করবে গুগল কিপ। গুগল কিপ-এ যে কোন প্রজেক্ট-এর ট্র্যাক রাখা যায়। যা কোন শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষক সহজেই মনিটর করতে পারবেন। গুগল কিপ ব্যবহার করে কতটুকু কাজ হল তার আপডেটও প্রতিদিন করা যাবে।
৪. ক্লাসনোট:
ক্লাসনোটগুলোই অনেক সময় ভাল সাজেশন হয়ে উঠে। গুগল কিপ এর মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী সহজেই বিষয়ভিত্তিকভাবে ক্লাস নোটগুলো লিখে রাখতে পারে। এই নোটগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদেরও সহযোগিতা করতে পারে।
৫. জিনিয়াস আওয়ার:
গুগল কিপ এর মাধ্যমে যেকোন আইডিয়া, রিসার্চ বা ছবি সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে কোন প্রজেক্ট খুব সহজেই করা যায়।
আবিষ্কার করো পাওয়ারপয়েন্ট এর খুঁটিনাটি!
৬. লার্নিং গোল:
সফলতার প্রথম শর্ত হচেছ লক্ষ্য নির্ধারণ করা। প্রতিটি কোর্স-এর শুরুতে কিছু গোল অথবা কোর্স আউটলাইন থাকে। গুগল কিপ-এ এগুলো লিস্ট করে রাখা যায়। কোর্স শেষে মিলিয়ে দেখা যায় গোলের কতটুকু অর্জন করা গেল।
কোন বইয়ের টপিক, শিরোনাম, পৃষ্ঠা নম্বর সবকিছু লিখে রাখা যায় গুগল কিপ-এ
৭. রিসার্চ নোট:
গুগল কিপ ডিজিটাল নোটকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কোন একটি বিষয় শুধুমাত্র বুকমার্কিংই নয়, বরং নোট যোগ করা বা নতুন করে আপডেট করা সবই এখানে করা যায়। এই বিষয়গুলো গবেষণার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রিসার্চ নোটের ক্ষেত্রে গুগল কিপের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
৮. রিডিং লগ:
গুগল কিপ হয়ে উঠতে পারে চমৎকার একটি রিডিং লগ। আপনি কী পড়ছেন, কতটুকু পড়লেন বা কোন পর্যন্ত পড়লেন সবই থাকবে গুগল কিপ-এ। অর্থাৎ কোন বইয়ের টপিক, শিরোনাম, পৃষ্ঠা নম্বর সবকিছু লিখে রাখা যায় গুগল কিপ-এ।
৯. প্রতিদিনের কাজ:
প্রতিদিনের কাজগুলো যদি নোট করে রাখা যায় তাহলে কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। কোন কাজ বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এমনকি কোন কাজের কী অবস্থা সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। কাজের তালিকা নোট করে রাখার কাজে সহায়তা করবে গুগল কিপ।
১০. জার্নালিং:
প্রতিদিন আমরা অনেক কিছুই তো শিখি। যা শিখলাম তার উপর একটি নোট লিখে রাখা যায় এখানে। শুধু তাই নয়, এই নোট অন্যদের সাথেও শেয়ার করা যায়।
আপনার কমেন্ট লিখুন