বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস: ৫২ বছরে আমাদের অর্জন

March 26, 2023 ...

স্বাধীনতা…চার অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দটি প্রতিটি জাতির কাছেই এক অন্য রকম আবেগ ও ভালোবাসার নাম। “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা” গানটি রুপক অর্থে লেখা হলেও, আক্ষরিক অর্থেই কোনো দেশের স্বাধীনতা আনতে রক্তের বন্যা বয়ে যায়। মানুষ আসলে জন্মগতভাবে স্বাধীন হলেও প্রায়শই এই স্বাধীনতা হরণ করে নেয় কিছু হানাদার দস্যু।

আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পুরোপুরি বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। আর এই মহান স্বাধীনতার ঘোষণাটি আসে ২৬ মার্চে। এজন্যই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য খুবই বিশেষ এক দিন। এই দিনে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকি, আর আলোচনা সমালোচনার ফাঁকে নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে চোখ বুলাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা, ২৬ মার্চ এর ইতিহাস, স্বাধীনতা দিবসের ছবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে উক্তি, কবিতা ও স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়েই আজকের এই ব্লগ!

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, ২৬ মার্চ এর ইতিহাস

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে লিখতে গেলে শুরু করতে হবে সেই ১৯৪৭ থেকেই, যখন ইংরেজরা এই দেশের মাটি ত্যাগ করেছিল। ইংরেজ ঔপনিবেশিক শক্তি চলে যাবার আগে, এই উপমহাদেশকে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুই দেশে বিভক্ত করে যায়। ধর্মভিত্তিক এই বিভাজনে তখন কোনো সমস্যা বোঝা না গেলেও কিছুদিন যেতেই খোলস পাল্টে আসল রূপ ধরা পড়ে যায়। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকভাবে শোষণ চালাতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা।

শুরুটা হয় ১৯৫২-তে মাতৃভাষার ওপর আঘাত দিতে। এতেই থেমে থাকেনি তারা, রীতিমত সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাতে থাকে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যখন বাংলার দামাল ছেলেরা রক্ত দিল রাজপথে, তখন থেকেই বলতে গেলে বাঙালিদের মানসপটে অঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল যে, স্বাধিকারই আসল মুক্তি। তাছাড়া এই নিপীড়ন চলতেই থাকবে। এরপর একসময় রবীন্দ্র সংস্কৃতি চর্চার ওপর খড়গহস্ত নেমে আসে। এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালিদের হেনস্তা করতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। সরকারি, সামরিক, বেসামরিক সব খাতেই নজির বিহীন বৈষম্যের শিকার হয় বাঙালিরা। মাঝে একবার বাংলাকে উর্দু হরফে লেখার পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল তারা।

এসব কিছুর কারণে বাঙালিরা ভেতরে ভেতরে ফুঁসতে থাকে। ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬৬ এর ৬ দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তারই ইঙ্গিত দেয়। বাঙালিরা তখন বুঝতে থাকে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন কোনোক্রমেই হস্তান্তর করবে না পাক সামরিক শাস্করা। তাই ’৭০ এর নির্বাচনে জেতার পরও যখন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হলো না, উল্টো আলোচনার নামে টালবাহানা করা হচ্ছিল- বুদ্ধিমান সকলেই বুঝতে পেরেছিলেন সামনে কী আসতে চলেছে। বাঙালি জাতি এগিয়ে যেতে থাকে সেই রক্তক্ষয়ী ২৬ মার্চ এর ইতিহাস -এর দিকে।

৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করে বসলেন, যা ইতিহাসের পাতায় বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে। আকারে ইঙ্গিতে পুরোটাই বুঝিয়ে দিলেন বাঙালিকে এবার স্বাধীনতার সংগ্রামই করতে হবে, কিন্তু সরাসরি দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেননি, কারণ ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর নিজের এবং উপস্থিত জনতার জীবনের আশঙ্কা ছিল। তাঁর সেই ভাষণ আজও বাঙালির কানে বাজে।

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম! জয় বাংলা!

কিন্তু পাকিস্তানিরা যখন শান্তির পথ বেছে নিল না, ২৫ মার্চে টিক্কা খান, জেনারেল রাও ফরমান আলী খান, জেনারেল নিয়াজি এদের মাস্টারপ্ল্যানে সরাসরি বাঙালিকে হত্যার মহোৎসবে মেতে উঠলো, সেই রাতেই বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হবার পূর্বে বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন। এরপর চট্টগ্রাম বেতারে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর হয়ে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এবং ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।


Dec 16 2018আরো পড়ুন: ১৬ই ডিসেম্বর: স্বাধীনতা শব্দটি যেভাবে আমাদের হলো


স্বাধীনতার ঘোষণা

বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতেই তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগেই তিনি বেতার মারফত ঐতিহাসিক এই ঘোষণাটি দিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঘোষণাটি ছিলো,

  • বাংলায়: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
  • ইংরেজিতে: This may be my last message, from today Bangladesh is Independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.

২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কখন ও কত সালে?

স্বাধীনতা দিবস কবে থেকে কার্যকর করা হয়েছে তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই এর উদ্যোগ নেয়া হয়। একদম সঠিক করে বললে, ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি একটি বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৬ মার্চকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়, এবং ২৬ মার্চ এর ইতিহাসকে স্মরণ করার জন্য দিনটিকে সরকারিভাবে ছুটির দিন বলে ঘোষণা করা হয়।

ঘরে বসে Freelancing

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত গাইডলাইন।
  • আন্তজার্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (যেমন: Upwork, Fiverr) এ নিজের প্রোফাইল তৈরি এবং কাজ পাবার উপায়।
  •  

    ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়?

    ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়, সেটির উৎস অনুসন্ধান করতে হলে আগে জানতে হবে কেন আমরা এতো রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীনতা আনলাম? স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা বলার আগে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে এই ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী ছিলো?

    • স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জন ও অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণমুখী, মানবিক, প্রগতিশীল স্বতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
    • মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত হবে এমন একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করাও এর উদ্দেশ্য, যেখানে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা, শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে- এমন স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

    আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করার উদ্দেশ্যও একই আছে। প্রতি বছর আমরা এই দিনটিতে নিজেদের দিকে ফিরে তাকাই, বীরদের স্মরণ করি, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি আর বাংলাদেশকে তার লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে নিতে দৃপ্ত পদক্ষেপ ফেলি।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে উক্তি

    এবার আমরা দেখবো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে উক্তি এবং স্বাধীনতা দিবস বিষয়ক কিছু উক্তি,

    • এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে
      – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
    • স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
      – শামসুর রাহমান
    • যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট
      – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
    • আমরা স্বাধীন হয়েছি তাই আমরা স্বাধীন জীবন যাপন করবো এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আমরা আজন্ম স্বাধীন।
      – উইলিয়াম ফকনা
    • স্বাধীনতা মানুষের মনের একটি খোলা জানালা, যেদিক দিয়ে মানুষের আত্মা ও মানব মর্যাদার আলো প্রবেশ।
      – হার্বার্ট হুভার

    ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যেভাবে অর্জন করলাম বাংলায় কথা বলার অধিকারআরো পড়ুন: মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস: যেভাবে অর্জন করলাম বাংলায় কথা বলার অধিকার


    বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা

    স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বরাবরই বাংলা ভাষাভাষী কবি ও সাহিত্যিকদের জন্য অন্যরকম এক প্রেরণার নাম। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে অসংখ্য গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প, স্মৃতিকথা। এসব লেখায় উঠে এসেছে স্বাধীনতার জন্য জাতি হিসেবে আমাদের ত্যাগের গাঁথা- যেমন, কবি শামসুর রহমান বলেছেন,

    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
    পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত জ্বলন্ত
    ঘোষণার ধ্বনি–প্রতিধ্বনি তুলে,
    নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
    এই বাংলায়
    তোমাকেই আসতে হবে।

    — তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, শামসুর রাহমান

    এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় ?
    তেমন যোগ্য সমাধি কই ?
    মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো
    অথবা সুনীল-সাগর-জল-
    সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই !
    তাইতো রাখি না এ লাশ আজ
    মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে,
    হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।

    — এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়, হুমায়ুন আজাদ

    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।
    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।

    — একটি পতাকা পেলে, হেলাল হাফিজ

    বিসিএস প্রিলি লাইভ কোর্স

    কোর্সটিতে যা যা পাচ্ছেন:

  • পিএসসি প্রণীত সিলেবাসের আলোকে সাজানো ৮০টি লাইভ ক্লাস
  • বিসিএস স্ট্যান্ডার্ডের প্রশ্ন মোকাবেলা করার কৌশল
  • ১৪৭টি রেকর্ডেড ভিডিও এবং ১৪৭টি ক্লাস ম্যাটেরিয়াল
  • ১২৫টি লেকচার শিট, ২৯৪০টি কুইজ ও ২৪টি মডেল টেস্ট
  •  

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের গান

    ২৬ শে মার্চ আসলেই প্রতি বছর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে। আর মহান এই স্বাধীনতা দিবস নিয়ে তৈরী হয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান, তার মাঝে কিছু গান হলো –

    • ও আমার দেশের মাটি – তোমার পরে ঠেকাই মাথা
    • একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতার – সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার
    • যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে, লক্ষ মুক্তি সেনা – দে না, তোরা দে না, সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না
    • এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা – আমরা তোমাদের ভুলবো না
    • দেশের জন্য যারা দিয়ে গেছো প্রাণ – ভুলিনি আমারা
    • সবকটা জানালা খুলে দাওনা – আমি গাইবো, গাইবো বিজয়েরই গান
    • সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পারে দাঁড়িয়ে
    • মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানী মাসি হতে দেব না
    • মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি
    • আমায় গেঁথে দাওনা মাগো – একটা পলাশ ফুলের মালা

    স্বাধীনতা দিবসের ছবি

    এই পর্বে আমরা দেখবো মহান স্বাধীনতা দিবস এর কিছু ছবি ,

    স্বাধীনতা দিবসের ছবি
    বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ছবি  (সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আর্কাইভ)
    স্বাধীনতা দিবসের ছবি বাংলাদেশ
    ভুট্টো মুজিবের বৈঠক  (সূত্র: ডেইলি স্টার)
    মহান স্বাধীনতা দিবস এর ছবি
    ২৫ মার্চের সেই বিভীষিকাময় রাতের বিবরণ লিখে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের প্রতিবেদনের ছবি  (সূত্র: বিবিসি)

    শেষ কথা: স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

    “কী দেখার কথা, কী দেখছি. . . তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি. . .”

    স্বাধীনতার স্বপ্ন আর বর্তমান বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে গায়ক হায়দার হোসেনের এই গানটিই যেন করুণ সুরে বেজে ওঠে মনের কোণে। তিরিশ চল্লিশ নয়, পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার। সুখী-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ সমাজের স্বপ্ন পুরোপুরি পূরণ হয়নি আমাদের। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, বেকারত্বের দুর্বিপাকে এখনও আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি। মূল্যবোধের অবক্ষয়, হিংসাত্মক অপরাজনীতি, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি, সীমাহীন দুর্নীতি প্রভৃতি স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লাগাম টেনে ধরে আছে।

    কিন্তু এর মাঝেও আছে খুশির খবর। স্বাধীনতা উত্তরকালে যে দেশকে একদিন কিসিঞ্জার বলেছিল তলাভাঙ্গা ঝুড়ি, আজ সে দেশই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি ক্রমশ উন্নতির দিকে, এবং শুরুর দিকের দৈন্যদশাও ঘুচেছে। তাই আমরা যদি সবাই দেশকে ভালোবেসে দুর্নীতিমুক্ত এই দেশ গড়ার শপথ নিই এবং যে যার জায়গা থেকে কাজ করতে থাকি, তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে। এবং সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা পরবর্তী প্রজন্মকে উপহার দিয়ে যেতে পারবো আমরা!


    তথ্যসূত্র:

    আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:



    ০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন