মনে করুন, আপনি কোথাও একটা বসে মিষ্টি খাচ্ছেন। মিষ্টির ছোট্ট একটু অংশ আপনার অজান্তেই মেঝেতে পড়ে গেছে। একটু পরেই খেয়াল করে দেখলেন, কোত্থেকে যেনো পিঁপড়ার দল মিষ্টির টুকরাটি নিয়ে যাওয়ার জন্যে লাইন ধরে এসে দাঁড়িয়েছে। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই হয়ত এটা শুনে এসেছি যে, পিঁপড়ার নাক অনেক বড়। সেজন্যই তারা খাবারের ঘ্রাণ আগে আগে পেয়ে যায়। যদিও তারা খাবারের ঘ্রাণ পায় তাদের অ্যান্টেনার সাহায্যে। আবার একটি পিঁপড়া খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে যেতে থাকে যাতে অন্য পিঁপড়াগুলো সেটিকে অনুসরণ করতে পারে।
আমরা অনেকেই হয়ত উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ এ পড়ে এসেছি যে “পিঁপড়ারা মানুষের মতো চাষাবাদ করতে পারে”। কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি। পিঁপড়া নিয়ে মজার মজার অনেক কথাই হয়ত আমাদের জানা নেই। চলুন আজকে পিঁপড়া নিয়ে কিছু কথা জানা যাক।
পিঁপড়া- সৃষ্টিজগতের মাঝে নিতান্তই ছোট্ট একটি অংশ, ছোট্ট একটি প্রাণী। সৃষ্টিকর্তা যত ধরণের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন তাদের মাঝে নিতান্তই ক্ষুদ্র একটি প্রাণী এই পিঁপড়া। তার পরেও যেন একে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। এমনকি পিঁপড়া নিয়ে সমস্ত কিছু জানলে, তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বেঁচে থাকার মাধ্যম এমনকি একে অপরের জন্যে নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করার কথা জানলে হয়ত তাদের প্রতি একটা আলাদা সমীহই জেগে উঠবে।
ধারণা করা হয়ে থাকে, পিঁপড়ারা ডাইনোসরের সময়েরও আগে থেকেই এই পৃথিবীতে আছে। প্রায় ১১০ মিলিয়ন বছর আগে থেকেই নীরবে পিঁপড়ারা পৃথিবীর পৃষ্ঠে রাজত্ব করে আসছে। সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ১০ হাজার ট্রিলিয়ন এর চাইতেও বেশী পিঁপড়া বাস করে। এখন পর্যন্ত বাইশ হাজারেরও বেশী পিঁপড়ার প্রজাতিকে খুঁজে পাওয়া গেছে এবং হয়তবা এর চাইতেও অনেক অনেক বেশী প্রজাতির পিঁপড়া আছে।
সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই পিঁপড়াগুলো বেঁচে আছে একসাথে কলোনীর মত করে তৈরী করে আর একে অপরকে সাহায্য করে। পিঁপড়াদের কলোনী! অদ্ভুত না? শুনতে খুবই অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি যে, তারা সারাজীবন এক ধরণের কলোনীতে বাস করে। শুধু তাই না, তারা একে অপরকে সাহায্য করে এবং দরকারে নিজেদের উৎসর্গ করে দেয় কলোনীর বাকি পিঁপড়াদের জন্যে। বলা হয় যে, সাহায্য করার এই মানসিকতা আর অনুশীলনই অন্যতম কারণ যে কারণে এই ছোট্ট প্রাণীগুলো এত বছর পরেও পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়নি।
তাহলে চলুন এই হাজার হাজার প্রজাতির পিঁপড়ার মাঝ থেকে কয়েকটি ভীষণ ব্যস্ত পিঁপড়া প্রজাতির সম্পর্কে অল্প কিছু জানি।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Cartoon Animation Course
কর্মী পিঁপড়া:
এই প্রজাতিটি সবমসময় খাদ্যের অনুসন্ধানে দলবেঁধে চলাফেরা করে এবং দরকারে দলবেঁধে আক্রমণ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এদেরকে ‘আর্মি পিঁপড়া’ বলা হয়। এই প্রজাতির পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হলেও এরা তাদের অ্যান্টেনার সাহায্যে খাবার এবং আশেপাশের ঘ্রাণ পায়। এমনকি এরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ এবং এদের শিকার খুঁজে বের করার কাজও এদের অ্যান্টেনার সাহায্যেই করে থাকে।
কর্মী পিঁপড়ারা যখন খাবারের অনুসন্ধানে বের হয় তখন এরা তাদের চাইতে অপেক্ষাকৃত বড় কোন পোকা সামনে এলেও আক্রমণ করে সেটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে পিঠে করে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যায়। যেহেতু দুই লক্ষেরও অধিক পিঁপড়া একসাথে বের হয় সেহেতু সামনে আসা শিকার তাদের চাইতে বড় হলেও তারা সেটিকে মোক্ষমভাবে ঘায়েল করে ফেলে।
এই পিঁপড়াগুলোর দল একটা ২ ইঞ্চির মত লম্বা মাকড়সাকে টুকরো টুকরো করে কেটে মাত্র দশ মিনিটের মাঝে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি যে জায়গায় তারা মাকড়সাটিকে আক্রমণ করেছিলো সেখানে কোন কিছুর চিহ্ন পর্যন্ত রাখেনা।
টুকরো করা শিকারকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় এরা যে পথ ধরে এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ ফেলে এসেছে সেটার ঘ্রাণ অনুসরণ করে পৌঁছাতে পারে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে সৈন্য পিঁপড়ারা বিশাল লম্বা লাইন করে অন্য পোকা কিংবা পিঁপড়ার থেকে দুই পাশে এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর মাঝ দিয়ে পিঁপড়াগুলো শিকার এর কাটা টুকরোগুলো নিয়ে যাওয়া আসা করতে থাকে।
অনেকের কাছে এটা মনে হতে পারে যে, পিঁপড়ারা অন্য পোকামাকড় তাদের আবাসস্থলে নিয়ে গিয়ে সেগুলোই খায় কিনা। কিন্তু না! পিঁপড়ারা যে টুকরোগুলো তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে সেখানে তারা আরও অপেক্ষাকৃত ছোট কর্মী পিঁপড়াদের কাছে দেয়। যারা সেই টুকরোগুলোকে চূর্ণবিচূর্ণ করে সেখান থেকে এক ধরণের রস নিঃসরণ করে। ও হ্যাঁ! বলতে ভুলে গেছি, পিঁপড়াদের কলোনীতে রাণী পিঁপড়া থাকে যার আদেশ মেনে নিয়ে সবাই কাজ করে। টুকরোগুলো হতে নিঃসৃত রস রাণী পিঁপড়া, লার্ভাগুলোকে আর কলোনীর বাকি সব পিঁপড়াকে খাওয়ানো হয়।
এই পিঁপড়াগুলো খুব স্বল্প সময়ের জন্যে এক জায়গায় বাস করে। কোন একটা জায়গায় যখন এরা শিকার করা শেষ করে ফেলে আর খাদ্যের সন্ধান পায় না, তখন তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে যায়। সাধারণত তারা রাত্রে অন্য জায়গায় যাওয়া শুরু করে। বিশাল লম্বা লাইন করে তারা এগিয়ে যায়। এখানেও সৈন্য পিঁপড়ারা দুই পাশে পাহারা দিতে থাকে যাতে কোন ধরণের বিপদ না আসে। আর কিছু পিঁপড়া আগেই সামনের দিকে বিপদ আছে কিনা কিংবা বসবাসের যোগ্য কিনা দেখার জন্য রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে এগিয়ে যায়। এরই মাঝ দিয়ে অন্য পিঁপড়ারা রাণী পিঁপড়া, তার ডিম আর লার্ভাগুলো পিঠে করে নিয়ে এগোতে থাকে।
কৃষিজীবী পিঁপড়াঃ
আমরা অনেকেই হয়ত ‘A Bug’s Life’ মুভিটি দেখেছি। সেখানে এক প্রজাতির পিঁপড়াকে দেখানো হয় যারা শস্য সংগ্রহ করে। বাস্তব জীবনে এক প্রজাতির পিঁপড়া একটু আলাদা হলেও কাছাকাছি এক ধরণের কাজ করে। যেটা হচ্ছে পাতা কেটে সংগ্রহ করা। এই প্রজাতির পিঁপড়ারা তাদের ধারালো দাঁত দিয়ে পাতা কেটে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যায় দেখে এদেরকে ‘লিফ কাটার পিঁপড়া’ বলা হয়। আবার এরাই সেই পাতা থেকে অনেকটা ব্যাঙের ছাতার মত ফাঙ্গাস এর চাষ করে দেখে এদেরকে ‘ফাঙ্গাস ফার্মার’ ও বলা হয়।
এই পিঁপড়ারা ভীষণভাবে ব্যস্ত থাকে আর ছোটাছুটি করে। কিছু পিঁপড়া তাদের শুঙ্গের মত লম্বা ম্যান্ডিবলে থাকা ধারালো দাঁত দিয়ে পাতা কাটতে থাকে। তাদের ম্যান্ডিবল নামের অংশটি সেকেন্ডে এক হাজার বারের চাইতেও বেশী কম্পন দেয় আর এজন্যই তারা অনেক বড় বড় গাছের শক্ত পাতাও খুব অনায়াসেই কেটে নিতে পারে।
আরও পড়ুন:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী? জেনে নিন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড -এর কিছু কার্যকরী ব্যবহার
নামাজ পড়ার নিয়ম: কোন নামাজ কত রাকাত ও নামাজের ফরজ কয়টি?
বাকি পিঁপড়ারা কাটা পাতাগুলো নিয়ে ছোটাছুটি করে আবাসস্থলে যায়। এ সময়ে পাতার উপরে ছোট পিঁপড়া বসে থেকে পাহারা দেয় যাতে মাছি বা অন্য কিছু পাতার উপরে এসে না বসে। যেহেতু অনেক দূরে পাতা কাটতে যেতে হয় এই প্রজাতির পিঁপড়াদের, সেজন্য পাতাগুলো নিয়ে আবাসস্থলে রেখে আবার পাতা কাটার স্থানে ফেরত আসতে পিঁপড়াগুলোর কয়েক ঘণ্টাও লেগে যায়।
আবাসস্থলে গিয়ে এরা কাটা পাতাগুলো অন্য পিঁপড়াদেরকে দেয় যারা মাটির নিচে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে সেগুলো থেকে সার তৈরি করে। এই সার এক ধরণের ফাঙ্গাস জন্মাতে সাহায্য করে। এই ফাঙ্গাসগুলো পিঁপড়ারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।
মাটির নিচে ফাঙ্গাস জন্মানোর জন্যে পিঁপড়ারা পাতার কাটা অংশগুলোকে এক ধরণের মণ্ডের মত তৈরি করে। সেই মণ্ডগুলোকে অনেক যত্ন করে তার উপর পিঁপড়াদের দেহ থেকে নিঃসৃত এক ধরণের পদার্থ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এরপর সেগুলোকে সার হিসেবে ব্যবহার করে তার উপর ফাঙ্গাসগুলো রোপণ করে পিঁপড়ারা চাষাবাদ করে। এই ফাঙ্গাস রাণী পিঁপড়া থেকে শুরু করে কলোনীর সবাইকে খাওয়ানো হয়।
এই প্রজাতির পিঁপড়ারা তাদের আবাসস্থল মাটির নিচে বেশ বড় জায়গা নিয়ে তৈরি করে। এরা আবাসস্থল তৈরির সময় অনেকগুলো প্রবেশপথ রেখে দেয় এতে যাওয়া আসা করার জন্যে। তারা আবাসস্থলে শতশত কক্ষ তৈরি করে সেগুলোতে ফাঙ্গাস চাষ করার জন্যে। এদের মাঝেও একদম ছোট পিঁপড়াগুলো অনেকটা পরিচারিকার মত কাজ করে। ডিম গুলো পরিষ্কার করা আর লার্ভাগুলোকে খাওয়ানোর যাবতীয় কাজ এরাই করে।
মাকড়সা ও অন্যান্য শত্রু পিঁপড়া থেকে বাকিদের রক্ষা করার জন্যে এই প্রজাতির বড় বড় পিঁপড়াগুলো পাহারা দেয় এবং কেউ তাদের আবাসস্থলে ঢুকতে গেলে তাদের কামড় দিয়ে মেরে ফেলে।
এই পিঁপড়াদের অনেকের কাজই হচ্ছে পুরনো ফাঙ্গাস আর আবর্জনাগুলো ফেলে দেয়া। এরা ময়লাগুলোকে হয় তাদের আবাসস্থলের নিচে পুঁতে ফেলে অথবা উপরে তুলে সরিয়ে অনেক বড় স্তূপ তৈরি করে রাখে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে বাকি পিঁপড়াগুলো কেউ এই ময়লা, আবর্জনা সরিয়ে রাখা পিঁপড়াদের কাছে যায়না। মনে হতে পারে যে, পিঁপড়াদের মাঝেও কি মানুষের মত বড়-ছোট মনোভাব আছে নাকি? কিন্তু এটা আসল কারণ নয়। এই ব্যাপারটার একটি যৌক্তিক ব্যাখ্যা আছে। যদি পিঁপড়ারা ময়লা সরিয়ে রাখা পিঁপড়াদের কাছে যায়, তাহলে তারা জীবাণু কিংবা কোন অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে সেই জীবাণু গাছের পাতা কিংবা ফাঙ্গাসে চলে আসতে পারে। আর যদি এটা হয় তবে পুরো কলোনীর সবাই না খেতে পেয়ে মারা যাবে। এজন্য এরা এই দূরত্বটুকু বজায় রাখে সবার স্বার্থের খাতিরেই।
লাল পিঁপড়াঃ
খুব সম্ভবত আপনারা সবাই এই পিঁপড়ার প্রজাতিকে দেখেছেন। হঠাৎ করে কোথাও পা রেখে যখন পিঁপড়ার কামড় খেয়ে লাফিয়ে উঠতে হয় তখন নিচে তাকালে এই প্রজাতির পিঁপড়াকেই দেখা যায়। এই প্রজাতির পিঁপড়ার পুরো শরীর এর চাইতে পেটের শেষ অংশ অনেক বেশী গাঢ় রং এর হয়। সারা পৃথিবী জুড়েই এই প্রজাতির পিঁপড়াদেরকে পাওয়া যায়। এদের আবাসস্থলে কিংবা চলার পথে এদের লাইনে পা দিলে বা কোনোভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটালে প্রচণ্ডভাবে রেগে যাওয়ার অভ্যাস আছে এই প্রজাতির পিঁপড়ার। তাদেরকে ‘রেড ফায়ার পিঁপড়া’ বলে অনেকে চেনে।
এই প্রজাতির পিঁপড়াদের প্রত্যেকেরই বিষময় হুল আছে যেটা তারা কাউকে আক্রমণে কাজে লাগায়। আক্রমণের সময় তারা শিকারকে তাদের ম্যান্ডিবল দিয়ে আটকে ধরে তাদের পিছনের অংশ ধনুকের মত বাঁকিয়ে তাদের হুল থেকে বিষ ঢেলে দেয়। এরপরে এরা মাথার উপরে ভর করে বৃত্তাকারের মত ঘুরে ঘুরে হুল ফুটিয়ে বিষ ঢালতে থাকে। এদের বিষ ছোট কোন প্রাণীকে মেরে ফেলতে পারে এমনকি মানুষের শরীরেও প্রচণ্ড জ্বালার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি অনেকের এই বিষে এলার্জিও থাকতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে জীবন মরণ সমস্যার সৃষ্টি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেজন্য এই পিঁপড়া থেকে খুবই সাবধান!
এই প্রজাতির পিঁপড়াকে ঝামেলা সৃষ্টিকারী বলে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ এরা ফসল নষ্ট করে আবার কামড় দিয়েও যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করার মত যে, এরা অত্যন্ত সফল একটা প্রজাতি কারণ তারা খুবই সুনিয়ন্ত্রিত আর একসাথে কাজ করে। এই জিনিসটা অন্তত আমাদের এই ছোট্ট প্রজাতিটির কাছে শেখার মত।
এই প্রজাতির পিঁপড়ারা ছোট প্রাণী থেকে শুরু করে গাছসহ প্রায় সবকিছু থেকেই তরল পদার্থ নিঃসরণ করে খেয়ে থাকে। দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করে এরা একটা টিকটিকিকে এক মিনিটেরও কম সময়ে মেরে ফেলতে পারে।
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে, এই প্রজাতির কলোনীতে একটির বেশি রাণী পিঁপড়া থাকতে পারে। আর এজন্য এদের কলোনিতে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশী পিঁপড়া থাকে। এত পিঁপড়ার জায়গা করার জন্যে এরা মাটির নিচে প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত গর্ত করে আর নিচ থেকে মাটি তুলে প্রায় তিন ফুট উঁচু করে ফেলে। এইটুকু ছোট ছোট পিঁপড়ার প্রজাতির জন্যে এটা সত্যিই অনেক বড় একটা কাজ।
ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে Shutterstock থেকে।
তথ্যসূত্রঃ
http://www.antblog.co.uk
https://study.com/academy/lesson/army-ants-facts-types-life-cycle.html
https://www.britannica.com/animal/leafcutter-ant
https://asm.org/Articles/2017/September/the-leaf-cutter-ant-s-50-million-years-of-farming
বইঃ
The Miracle in the Ant by Harun Yahya
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Study Smart Course by Seeam Shahid Noor
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Course by Abtahi Iptesam
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
- Personal Finance Course by Nafeez Al Tarik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন