কামব্যাক শব্দটির ভাবার্থ করলে দাঁড়ায় “ঘুরে দাঁড়ানো”।
একদম ছোটবেলায় হাঁটা শিখতে গিয়ে বারবার পড়ে যাওয়ার কথা মনে আছে?
শতবার চেষ্টা করে বিজয়ের হাসি শেষমেশ আপনার মুখেই! আপনার হাঁটতে পারার আনন্দে পুরো পরিবার উচ্ছ্বাসিত। এমন কামব্যাকের উদাহরণ আমাদের সবার জীবনেই আছে।
পড়া না পারলে স্যারের বকুনি আর শাসন আপনার মন খারাপ করে দিত। পরেরদিন সেই পড়া আত্মস্থ করে গিয়ে স্যারকে অবাক করে দিতেন। এই ছোট্ট ব্যাপারটিও কিন্তু একটি কামব্যাক।
কিংবা ধরুন, খেলার মাঠে পিছিয়ে থেকেও দারুণ একটি কামব্যাক এবং অবশেষে জিতে যাওয়া!
অথবা ব্যবসায় বড় রকমের ক্ষতির পরে ব্যবসা না গুটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। এই সবকিছুই কাম ব্যাকের উদাহরণ।
ইতিহাসে এমন কামব্যাকের অন্তত কয়েক হাজার উদাহরণ আছে যেখানে ঘুরে দাঁড়ানো সত্ত্বারা বার বার প্রমাণ করেছেন, হেরে গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়ার মানেই জীবন না বরং ছেড়ে দেয়া হাল আবার ধরে জিতে যাওয়াই হচ্ছে জীবন।
ইতিহাসের এমন সেরা কয়েকটি কামব্যাক আপনার হাল ছেড়ে দেয়ার মন মানসিকতা পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা রাখে!
লুডভিগ ফন বেটোফেন (Beethoven)ঃ
বধির সুর সম্রাটের বিশ্বজয় !
১৭৭০ সালে জন্ম নেয়া এই জার্মান পিয়ানিস্ট পৃথিবীর জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
১৭৯০ সালের মধ্যেই খ্যাতির দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যান বেটোফেন। কিন্তু ভাগ্য বেটোফেনের সাথে হঠাৎ করেই প্রতারণা করে। ১৮০২ সালের মধ্যেই এই প্রতিভাবান প্রায় সম্পূর্ণ বধির হয়ে যান। হতাশা আর দুঃস্বপ্নে জর্জরিত বেটোফেন হাল ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেন। কারণ বধির হয়ে তো আর যাই হোক সুর রচনা করা যায় না! আবার সুর রচনা করা ছাড়া তিনি আর কিছুই পারেন না । তাই আত্মহত্যাই তাঁর কাছে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে হতে লাগলো।
আত্মবিশ্বাস হারিয়ে নিজের কাছে, গোটা বিশ্বের কাছে হেরে যাওয়া বেটোফেন তাঁর ভাইয়ের কাছে লিখলেন এক অবিনশ্বর চিঠি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বধির এই সুরকার কি লিখেছিলেন সেইদিন ?
“I would have ended my life – it was only my art that held me back. Ah, it seemed to me impossible to leave the world until I had brought forth all that I felt was within me.”
অদম্য বেটোফেন “হেইলিজেন্সটেড স্টেটমেন্ট” নামের এই বিখ্যাত চিঠিতে তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। হতাশ আর আত্মবিশ্বাসহীন বধির বেটোফেন ততদিনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত ঝেড়ে ফেলেছেন।
বধির হয়েও কিভাবে তিনি অনিন্দ্য সুন্দর সব সুর রচনা করলেন ?
বেটোফেনের যখন সম্পূর্ণ বধির হয়ে পড়লেন, তখন দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি পিয়ানোর পাশে বসে কাটাতেন। তাঁর মুখে থাকত একটি পেন্সিল। পিয়ানোর সাউন্ডবোর্ডের অন্য পাশটি তিনি হাত দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করতেন। সাউন্ডবোর্ডের কম্পন অনুভব করে তিনি পিয়ানোর নোটগুলো বুঝার চেষ্টা করতেন আর এভাবেই চলতে থাকে তাঁর অনবদ্য সব সুর রচনা।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হোল, বেটোফেন তাঁর কালজয়ী সব সুরের অধিকাংশই বধির অবস্থায় রচনা করেন। আর বধির সুর সম্রাট বেটোফেনের এই অবিশ্বাস্য কামব্যাক আমাদের উপহার দেয় মুনলাইট সোনাটা কিংবা নাইন সিম্ফনির মতো যুগ যুগ ধরে সমাদৃত হওয়া কিছু দিগ্বিজয়ী সুর।
জোয়ান ক্যাথলিন রাওলিংঃ
যার কল্পনায় বাস্তবতা হার মানলো
এই জোয়ান ক্যাথলিন রাউলিং হচ্ছেন জনপ্রিয় কল্পকাহিনী হ্যারি পটারের লেখিকা জে.কে রাওলিং।
তাঁর জীবনের হতাশা আর দুঃস্বপ্নে ভরা অধ্যায়টি নিয়ে তিনি বলেছেন,
“By every usual standard, I was the biggest failure I knew.”
প্রিয় মায়ের অকাল মৃত্যুতে কল্পকাহিনী লেখা বাদ দিয়ে গভীর হতাশায় ডুবে যান রাওলিং। তাঁর এই হতাশায় জর্জরিত হওয়ার কারণে হ্যারি পটার কল্পকাহিনী জন্মের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে । হতাশার তীব্রতা কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্তুগালের একটি প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব নেন। নিজের এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠা আর হ্যারি পটার কল্পকাহিনীর প্রথম বইটি লিখে ফেলার সঙ্কল্প নিয়ে তিনি পর্তুগালে পাড়ি জমান।
কিন্তু ভাগ্য মোটেও তাঁর সহায় হয় নি! একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ব্যর্থ হন তিনি যার ফলফল হিসেবে একমাত্র কন্যা শিশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব তাঁকে একাই নিতে হয়। সংকল্পের কোনোটিই তিনি পূরণ করতে তো পারলেন না উল্টো হতাশার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেলেন। খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করা রাওলিং নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লেখার প্রতি তাঁর অটুট ভালোবাসা তাঁকে আগলে রেখেছিল। নিজের ছোট্ট মেয়ের দেখাশোনা আর টুকটাক কাজ করে জীবন চালানো রাওলিং নিজের সবটুকু দিয়ে বুনতে থাকেন হ্যারি পটার কল্পকাহিনী। অতঃপর প্রথম তিনটি চ্যাপ্টার লেখা হয়ে গেলে একজন প্রকাশকের কাছে সেটি পাঠান। ফলাফল তাৎক্ষনিক রিজেকশন।
হার না মেনে অন্য প্রকাশকের কাছে লেখাটি পাঠালেন। আবারো একই ফলাফল।
হ্যারি পটার সিরিজটি ১২ জন প্রকাশকের কাছ থেকে রিজেক্টড হয়। নিজের উপর আত্মবিশ্বাসটা রাওলিং আবার হারিয়ে ফেলতে থাকেন। শেষমেষ ব্লুমসবারি পাবলিকেশন্সের প্রকাশক লেখাটি পড়ে দেখতে রাজি হন। প্রকাশকের ৮ বছর বয়সের মেয়ে কাহিনীটি পড়ে দারুণ উচ্ছ্বাসিত হয় এবং প্রকাশক কাহিনীটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রকাশকের সতর্কীকরণঃ “বাচ্চাদের জন্য বই লিখে খুব একটা গতি হবে না রাওলিংয়ের। এর পাশাপাশি অন্য কাজও তাঁর খোঁজা উচিত।”
পরের কাহিনীটি আপনাদের সবারই জানা। ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হওয়া হ্যারি পটার সিরিজ ইতিহাসে বেস্ট সেলিং বুক সিরিজ। আর জে কে রাওলিং? জীবনের ট্রেকে কামব্যাকের পর ১ বিলিয়ন ডলারের এই মালিক লিখে যাচ্ছেন একটার পর একটা কালজয়ী কল্পকাহিনী।
মারভেল কমিকসঃ
পরাজয়ে ডরে না বীর
মারভেল কমিকসের নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন।
১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কমিক বুক পাবলিশার প্রায় ৭০০০ এর মতো অসাধারাণ সব চরিত্রের জন্ম দিয়েছে। স্পাইডারম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, হাল্ক, আয়রনম্যানের মতো কালজয়ী সব চরিত্র টিন এজার থেকে শুরু করে প্রায় সবার মনেই জায়গা করে নিতে পেরেছে খুব সহজেই।
ষাট ,সত্তর এবং আশির দশকে দারুণ সব সুপারহিরো চরিত্র আর রোমাঞ্চকর সব কাহিনী মারভেল কমিকসকে সাফল্যের দোরগোড়ায় এনে দেয়। শেয়ার মার্কেটে মারভেল কমিকসের প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্য তখন ৩৫.৭৫ ডলার! বড় বড় বিনিয়োগকারীরা মারভেল কমিকসে লাভের আশায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে থাকেন। প্রচুর লাভের আশায় প্রতিটি অ্যাকশন কমিক বুকের মূল্য ৪০০ ডলার থেকে গিয়ে দাঁড়ায় ৫০০০ ডলারে! কমিকের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকলেও হঠাৎ করেই তা থমকে যায়। কিছু ধনী বিনিয়োগকারীরা নিজেদের মধ্যে স্বার্থকেন্দ্রিক সংঘর্ষের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কিছু ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেন যার ফলে মারভেল কমিকস হুমকির মুখে পড়ে।
১৯৯৩-১৯৯৬, মাত্র ৩ বছরের মধ্যে মারভেলের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ৩৫.৭৫ ডলার থেকে কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২.৩৮ ডলারে! ১৯৯৬ সালে দেউলিয়া হয়ে যায় মারভেল কমিকস!
অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা আর সৃজনশীলতার অনুপস্থিতিতে দেউলিয়া, ঋণগ্রস্ত মারভেল কমিকসের পরের গল্পটি কিন্তু অন্য রকম!
১৯৯৬ সালের পরে টয়বিয নামক আমেরিকান একটি খেলনা কোম্পানির সাথে মিলিত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় মারভেল কমিকস। নতুন নাম হয় মারভেল এন্টারপ্রাইজ। কালি আর কলমের কমিকসের বাইরেও নতুন কিছু করতে চাইলো মারভেল কমিকস। মারভেলের কমিকেসের ব্যবসায় নতুন স্ট্রাটেজি হিসেবে যোগ হোল মারভেল মুভি, খেলনা, ভিডিও গেমস সহ আরও অনেক কিছু। ব্যবসায়িক চিন্তাধারায় বিশাল রকমের সৃজনশীল পরিবর্তন আনার ফলে দেউলিয়া হওয়ার ৬ বছরের মধ্যেই শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ২০ ডলারে, আর মারভেলের মার্কেট ভেলু তখন ২ বিলিয়ন ডলার !
মারভেল এন্টারপ্রাইজকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দারুণ সব চরিত্রের অসাধারণ সব মুভি, খেলনা আর ভিডিও গেমস দেউলিয়া মারভেলকে পৌঁছে দেয় সাফল্যের একদম শেখরে। নিচের ছবিটি দেখলেই দেউলিয়া সেই কোম্পানির বড়সড় “কামব্যাক” সম্পর্কে ধারণা হয়ে যাওয়ার কথা!
রিডিং ৫ – ৭ আর্সেনালঃ
হেরে গিয়েও হারতে মানা
লীগ কাপের শেষ আটের লড়াইয়ে ২০১২ সালের অক্টোবরের ৩১ তারিখ এই দুই ইংলিশ ক্লাব মুখোমুখি হয়। আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব ফেভারিট হলেও প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে রিডিং ফুটবল ক্লাবের অসাধারণ নৈপুণ্যের কাছে তাঁরা রীতিমতো হিমশিম খায়। আর্সেনে ওয়েঙ্গারের দল প্রথমার্ধে একটি অউন গোল সহ গোল হজম করে ৪ টি আর পরিশোধ করতে পারে মাত্র ১টি ! গ্যালারিতে বা টিভির সামনে সেদিন যারা বসেছিলেন তারা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে, এই ম্যাচে কামব্যাক অসম্ভব একটা ব্যাপার।
দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা পুরোই মুদ্রার অন্য পিঠ!
টিমস্পিরিটের সাথে ফুটবল নৈপুণ্যের এক অসাধারণ দ্বিতীয়ার্ধে সবাইকে হতবাক করে ফেভারিট আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব খেলার মোড় ঘুড়িয়ে সমতায় ফেরে এবং অতিরিক্ত সময়ে জয়ের দেখা পায়।
৭ গোলে রিডিং ফুটবল ক্লাবকে উড়িয়ে দেয় তাঁরা!
টিমস্পিরিট আর ফোকাসটা ঠিক মতো থাকলে কোটি হৃদয়ে “কামব্যাক” করা মাত্র ৪৫ মিনিটের ব্যাপার!
এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলসঃ
সব বাধা যার কাছে তুলোধুনো হয়
ছবির এই ব্যক্তি জনপ্রিয় ডিসকভারি চ্যানেলের কালজয়ী সারভাইভাল শো Man vs Wild এর চোখ ধাঁধানো হোস্ট বিয়ার গ্রিলস। তাঁর বিচিত্র এবং সাহসী সব কাণ্ডকীর্তি দেখে অবাক হয়নি এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছেন।
তাঁর পেশাদারিত্বের অনেকটা অংশই সামরিক বাহিনীতে । কিন্তু ১৯৯৬ সালে জাম্বিয়ায় ফ্রি-ফল পেরাসুটিং করার সময় ঘটে যায় বিপত্তি। ১৬০০০ ফিট উপরে থাকতেই তাঁর প্যারাসুট ছিঁড়ে যায়। ভুল ল্যান্ডিং এর কারণে সেদিন মেরুদণ্ডের তিনটি হাড় ভেঙ্গে যায় তাঁর। এর সাথে আরও অনেক শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে জানা গেল তিনি খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণভাবে প্যারালাইজ হয়ে যেতে পারেন।
সবাইকে, বিশেষ করে ডাক্তারি সংজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ইনজুরির মাত্র আঠারো মাসের মাথায় ১৬ মে, ১৯৯৮ সালে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। এরপরের কাহিনীগুলোতো তিনি Man Vs Wild নামক সারভাইভাল শোতেই দেখিয়ে দিলেন !
এই আল্টিমেট সারভাইভরের এমন বিস্ময়কর কামব্যাক ডাক্তারি বিদ্যাকে বলতে গেলে সন্দেহের তালিকায় পাঠিয়ে দিলো !
জার্মানি এবং জাপানঃ
ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন বিশ্বের কারিগর
১৯৩৯- ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি আর যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক আর সামাজিক সংকটের সামনে মুখ থুবড়ে পড়া জার্মানি আর জাপানকে অন্য সব রাষ্ট্র অবজ্ঞার চোখে দেখতে থাকে।
কিন্তু সালটা এখন ২০১৯-২০২০। নানা চরাই উৎরাই পাড় করে জাপান আর জার্মানি যথাক্রমে দুনিয়ার তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। (সুত্রঃ focus-economics.com)
আর গোটা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা এই কামব্যাকের নাম দিয়েছেন “পোষ্ট -ওয়ার মিরাকেল” !
নিনটেন্ডো :
Improvise, adopt then overcome!
১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি সবচেয়ে বড় ভিডিও গেম প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একটি। লিজেন্ড অফ জেলডা, সুপার মারিও ব্রোস, পকেমন এর মতো দারুণ সব ভিডিও গেমের নকশাকার এই নিনটেন্ডো । গেম বয় ভিডিও গেম কনসোল বাজারে এনে ১৯৮৯ সালের দিকে কোম্পানিটি প্রচুর লাভ করে। নিনটেন্ডোর জনপ্রিয়তা তখন আকাশচুম্বী!
কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হোল না এই জনপ্রিয়তা। ২০০০ সালে রাইভাল কোম্পানি সনি বাজারে আনে
প্লে স্টেশন 2। গেম বয় ভিডিও গেম আর প্লে স্টেশন 2 এর দৌড়ে দারুণভাবে জিতে যায় প্লে স্টেশন 2।
তার সাথে নিনটেন্ডো গেমিং কনসোলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ব্যাপারটি অনেকটা গেমিং কনসোলের মার্কেট থেকে কিক আউট হওয়ার মতই !
কিক আউটের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে “Wii” নামের মোশন সেন্সিং টেকনোলোজি নিয়ে নিনটেন্ডোর
আচমকা কামব্যাক ২০০৬ সালে। এই টেকনোলোজি কোনো বস্তু বা মানুষের চলাফেরা বা নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারে। অসাধারণ এই টেকনোলজির কাছে সনির গেমিং কনসোল প্লে স্টেশন 3 আর এক্সবক্স 360 কোনো পাত্তাই পায়নি সেবার।
নিনটেন্ডোর এমন টেকনিক্যাল “কামব্যাক” গেমারদের উপহার দিয়েছে গেমিং এর অসাধারণ এক ডাইমেনশন।
এমন দিগ্বিজয়ী সব কামব্যাকের গল্প ইতিহাসে কম করে হলেও হাজারটা আছে।
এইসব গল্প আমাদের বার বার মনে করিয়ে দেয় যে হেরে যাওয়া শব্দটি আমাদের সাথে ঠিক মানায় না।
অনেক গল্পই তো লেখা হোল।
তো আপনার “কামব্যাকের” গল্পটি লেখার সুযোগ পাচ্ছি কবে?
আপনার কমেন্ট লিখুন