মৃত্যুপুরীর তপ্ত অনল, সাতরঙা প্রাণ ঝলসে দিলো কালচে রাতে, এক লহমায়
বুকের ভেতর ভীষণ দহন, আর ক’টা দিন বাঁচার আশায় জল ছিটালো, কান্না জমায়!
কবির কবিতার লাইন দুটোর মতোই, হঠাৎ করেই যেন ভয়ংকর এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আমাদের প্রিয় শহর। জাদুর শহর, ইট-কাঠ-পাথরের মায়াবী শহর বলে পরিচিত রাজধানী শহর ঢাকা যেন হঠাৎ পাগলাটে হয়ে উঠেছে, পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে চাইছে সবাইকে। ঘন ঘন ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, পত্রিকা খুললে কিংবা অনলাইনে আসলেই সবার আগে চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও আগুন লাগার খবর!
ফেব্রুয়ারিতে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কান্নার জল শুকাতে না শুকাতেই বনানীতে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবরে দেশ আবার কেঁপে উঠেছিলো। এরপর গুলশান, ডেমরা, খিলগাঁও সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। অনেকে মারা গেছেন, সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকেই।
Personal Fitness
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
আগুন লাগার ঘটনা হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গেছে। কিন্তু কেন?
যত যাই হোক না কেন, আগুন লাগার পেছনে আমাদের অসতর্কতাও যে অন্যতম কারণ, তা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আমরা সতর্ক থাকলে অনেক অগ্নিকাণ্ডই হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের কথাই ধরা যাক। ওয়াহিদ ম্যানসনে কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দেয়ার ব্যাপারটা নিশ্চয়ই যথেষ্ট বিপজ্জনক ছিল। যদি মালিকপক্ষ সচেতন থাকতো তাহলে হয়তো অগ্নিকাণ্ড ঘটতো না।
আগুন লাগার জন্য মোটা দাগে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা যায় না। বিভিন্ন কারণেই আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ কারণই পুরনো, আগুন সাধারণত এসব কারণে হরহামেশাই লাগে। বৈদ্যুতিক লাইনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা বাংলাদেশে যেন ডাল-ভাত। এ ছাড়া অননুমোদিত কারখানা, নিয়ম-কানুন মেনে চলার বদলে ভবন নির্মাণে স্বেচ্ছাচারিতা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার নাজুক দশা ইত্যাদি কারণ তো আছেই। সব মিলিয়ে, রসায়নের ভাষায় বললে, অগ্নিকাণ্ডের জন্য ‘অত্যানুকূল পরিবেশ’ই যেন বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকার পথেঘাটে, এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এ শহর!
ভয় দেখানো কথাবার্তা তো অনেক হলো, এবার সে সব দূরে সরিয়ে নাহয় একটা ছোট্ট গল্প বলা যাক। গল্পটা অনলাইনে পড়া। হাসান নামের এক বড় ভাই এর লেখা থেকে জেনেছিলাম। উনার ক্লাসমেট একবার উনাকে ফোন দিলো। কলেজ জীবন থেকে জানাশোনা। সেই ক্লাসমেটের বিয়ে নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে কয়েক মাস ধরে। তাই কোনো এক শুভ সংবাদের আশায় খুব আগ্রহ নিয়েই উনি কল রিসিভ করলেন।
সালাম দিতেই ওপাশ থেকে ভীত কণ্ঠ ভেসে এলো, “হাসান, আমাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে!”
ব্যাপারটা বুঝে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লাগলো উনার। যখন বুঝতে পারলেন, দেরি না করে দ্রুত বাসার ঠিকানাটা জেনে নিয়েই ঝটপট ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ঢুকে গেলেন তিনি। নিকটস্থ ফায়ার অফিসের নাম্বার সংগ্রহ করে কল করলেন। কল রিসিভ হতেই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ জানিয়ে খুব দ্রুত বাসার ঠিকানা জানিয়ে দিলেন। ফায়ার সার্ভিসও সময় নষ্ট না করে একটি ইউনিট পাঠিয়ে দিলো সাথে সাথেই। সে যাত্রায় আগুন তেমন ক্ষতি করতে পারেনি, ফায়ার সার্ভিসের সাহসিকতা, আন্তরিকতা আর কর্মনিষ্ঠায় দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিলো।
আরও পড়ুন:পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত? চটজলদি জেনে নাও এই ২৫টি পড়া মনে রাখার উপায়!
এই ঘটনা থেকে একটা জিনিস আমরা বুঝতে পারি। সেটা হচ্ছে আগুন লাগলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া উচিত। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার তো সব সময় আমাদের কাছে থাকে না, তাহলে?
আসলে, ফায়ার সার্ভিস, নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি জরুরি সেবাগুলোর সাথে যোগাযোগের উপায় আমাদের সব সময় প্রস্তুত রাখা দরকার। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এগুলো আমাদের দায়িত্বও বলা চলে।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট আর ফোন নাম্বার দুটোই জরুরি। ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইটে চলে যাওয়া যাবে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করলেই
http://www.fireservice.gov.bd/
এ ছাড়া, ফায়ার সার্ভিসের সকল স্টেশনের নাম্বার সংগ্রহে রাখতে নিচের লিংকে গিয়ে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন
সচেতনতার ব্যাপারটা নাহয় বোঝা গেল, আগুন লাগার কারণটাও একটু একটু স্পষ্ট হলো, কিন্তু আগুন যেন না লাগে, সেজন্য কিছু একটা করা দরকার না?
আগুন প্রতিরোধে করণীয়
বাংলাদেশ ফায়াস সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিলীপ কুমার ঘোষের পরামর্শ হচ্ছে, আগে প্রতিরোধের চেষ্টা করা উচিত অবশ্যই। প্রকৃতপক্ষে, যেকোনো দুর্যোগের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। বলা হয়ে থাকে, Prevention is better than cure.
অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে দুই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে প্রতিরোধ, পরে আসে নির্বাপণে করণীয়।
অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ানক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে,
* রান্নার পর চুলা জ্বালিয়ে রাখার প্রবণতা আমাদের অনেকের পরিবারেই দেখা যায়। একটা মাত্র ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য এমনটা করা হলেও, কাজটা কিন্তু ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রান্না শেষে চুলা সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলা দরকার।
* শীতকাল কিংবা বর্ষাকালে মাঝেমধ্যে সুয্যিমামার দেখা পাওয়াই ভার! বাধ্য হয়েই চুলা জ্বালিয়ে রেখে জামা কাপড় শুকোতে দেয় অনেকেই। কাজটা মোটেও ঠিক নয়। একে তো অমূল্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হয়, অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়। তাই ভেজা জামাকাপড় চুলার ওপর শুকাতে দেয়া যাবে না কিন্তু ভুলেও!
* গ্যাসের চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে রান্নাঘরের সব দরজা–জানালা খুলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
* গ্যাসের চাবি চালু করার আগে ম্যাচের কাঠি ধরাতে হবে। ছোট্ট একটা ব্যাপার, কিন্তু একটু অসতর্ক হলেই ঘটে যেতে পারে ভয়ানক দুর্ঘটনা!
* গ্যাসের চুলার হোস পাইপটি ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবর্তন করতে হবে দেরি না করে।
* বাসার বৈদ্যুতিক লাইন প্রতি ছয় মাস পরপর নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। ব্যাপারটা ঝামেলার মনে হতে পারে, তবে নিরাপত্তার জন্য এটুকু ঝামেলা তো সহ্য করাই যায়, তাই না?
* উন্নত মানের বৈদ্যুতিক তার/ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে।
* যেখানে যে সরঞ্জাম ব্যবহারের কথা, সেখানে সেটাই ব্যবহার করতে হবে। ইস্ত্রি, রুম হিটার, ফ্রিজ বা এ রকম ভারী যন্ত্র চালাতে নির্দিষ্ট সকেট ও প্লাগ ব্যবহার করতে হবে।
* অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এটা খুবই জরুরি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট প্রতিরোধে এটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
* ক্ষতিগ্রস্ত বা নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার/ সরঞ্জাম বদলে ফেলতে হবে। কোনোভাবেই এমন যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
* কোনো যন্ত্রই সারা দিন একটানা চালানো উচিত না। বিশেষ করে এসি চালানোর মাঝখানে বিরতি দেয়া দরকার।
* বজ্রপাতের সময় ডিশ–অ্যানটেনা ও রাউটারের সংযোগ খুলে রাখা উচিত।
* বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিপ্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
* ঝুঁকি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মজুদ রাখা দরকার।
* অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের প্রয়োগ ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা উচিত।
এ ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিলে অগ্নিকাণদের বিপদ মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতি থাকবে, ফলে কোনো কারণে আগুন লেগে গেলেও, ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যাবে অনেকাংশেই।
আগুন লেগে গেলে যা করণীয়
সতর্ক থাকার পরেও দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এক্ষেত্রে জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর ব্যাপারটাও মাথায় রাখা হয়। তবে যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায় সহজেই।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কোনোভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। এ সময় তাড়াহুড়ো করলে বিপদ আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে সাধারণ বিচার-বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কেউ বাড়ির ভেতরের কোনো রুমে আটকা পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে রুমের দরজা বন্ধ করে দিতে হবে। যদি সম্ভব হয়, কাপড় ভিজিয়ে দরজার নিচের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে দিতে হবে যেন আগুনের ধোঁয়া ভেতরে আসতে না পারে। তারপর রুমের জানালার কাছে দাঁড়িয়ে বাইরে যারা নিরাপদ স্থানে আছে, তাদের কাছে সাহায্য চাইতে হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে বের হবার জন্য লিফট ব্যবহার করা যাবে না। এ সময় সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় যতোটা সম্ভব শরীরের বাড়তি কাপড় খুলে ফেলতে হবে। বিশেষ করে যদি শরীরে কোনো সিনথেটিক জাতীয় কাপড় থাকে তবে তা অবশ্যই খুলে ফেলতে হবে। কারণ সিনথেটিক জাতীয় কাপড়ে আগুন খুব দ্রুত লেগে যাবার আশঙ্কা থাকে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কেউ যদি কোনো মার্কেট বা কারখানায় থাকে, তখন যদি সম্ভব হয়, সুতির কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নাকে মুখে চেপে শ্বাস নেয়া জরুরি। এটা ভালো ফিল্টারের কাজ করে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়ি থেকে সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে বের হতে হবে। এ সময় লক্ষ্য রাখতে হবে-যে পথ দিয়ে বের হচ্ছেন তার অপর পাশ আপনার জন্য নিরাপদ কি না। যদি তখন আগুনের কালো ধোঁয়ায় ঘর আচ্ছন্ন হয়ে যায়, তবে যতোটা সম্ভব মাটির সঙ্গে শরীর ঘেঁষে নিচু হয়ে বের হতে হবে। কারণ এ ধোঁয়া ফুসফুসে চলে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ সময় ওপরের ঠাণ্ডা বায়ু নিচে নেমে আসে। তাই নিচের বায়ু অনেকটা নিরাপদ। এ বিষাক্ত ধোঁয়া বা গ্যাসে মানুষ প্রথমে অজ্ঞান হয়ে, পরবর্তীতে পুড়ে মারা যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কেউ যদি গাড়িতে থাকে, অবশ্যই তা থামাতে হবে। এ সময় গায়ে আগুন লেগে গেলে ছোটাছুটি না করে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রথম কাজ হিসেবে আপনি নিজে নিরাপদ হবেন এবং পরে এলাকার আরো কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে পাঠিয়ে দেবেন। যেন এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কাজ করতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে, তারা যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে কাজটি করতে পারে।
এভাবে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ যদি নিতে পারেন, তবে অগ্নিকাণ্ডের পরেও সুস্থ শরীরে বেঁচে ফিরতে পারবেন এমনটা আশা করাই যায়। সেই সাথে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করার ব্যাপারটা নিশ্চয়ই আলাদা করে মনে করিয়ে দিতে হবে না?
ঘরে বসে Spoken English
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
বাংলাদেশ, সাজানো গোছানো ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট একটি দেশ। ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ বলে নানা রকম বিপদ আপদ যেন পিছু ছাড়ছেই না, বিশেষ করে ঢাকার অবস্থা একেবারেই নাজুক। ঢাকায় মেট্রোরেল হচ্ছে, ফ্লাইওভার হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। তবে সত্যি বলতে, ঢাকাকে রক্ষা করা এবং এ রকম অনিবার্য বিপদ এড়ানোর জন্য সবার আগে যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত, তা হচ্ছে জনসংখ্যার বিকেন্দ্রীকরণ।
তবে সেটা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের দায়িত্ব সরকার পালন করুক, আমাদের নিরাপত্তাবিধানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যা করণীয়, সেটা নাহয় আমরাও ঠিকঠাকভাবে পালন করি?
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি আপনার লেখাটি ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
আপনার কমেন্ট লিখুন