অ্যাডবি ফটোশপ: গ্রাফিকসের দুনিয়ার জাদুর কাঠি

April 19, 2019 ...

একটা সময় ছিলো যখন ফুজিফিল্মের সেই অতিকায় ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হতো। চাচা-মামারা বাসার সব পিচ্চিবাচ্চাদের এক করে ডেকে এনে সোফায় গাদাগাদি করে বসাতো। তারপর সবাইকে একবার হাসি দিতে বলতো। কেউ কেউ খুব দাঁত বের করে একটা হাসি দিতো, আবার কেউ কেউ ওসব পাত্তা না দিয়ে হাতের লেগো নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে কি যেনো একটা বানানোয় ব্যস্ত থাকতো। হঠাৎ করে চোখ ধাঁধানো ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে উঠতো। তারপর সেই ছবি দেখার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করা লাগতো, ফটো স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া লাগতো ফিল্ম নিয়ে। ফিল্ম থেকে ছবি প্রিন্ট করার পর কি দেখা যেত জানো? ছবিতে কারোর মুখে খুব বেশি লাইট, কারোর চেহারাটা একটু আবছা, কোনো সাইডে হয়তো একটু অন্ধকার। কিন্তু কিছু করার ছিলো না বলে ঐ ছবিগুলো সযত্নে অ্যালবামে ভরে সাজিয়ে রাখতো সবাই।

আস্তে আস্তে দিন পাল্টেছে, শুরু হয়েছে ডিজিটাল ইমেজিং এর যুগ। ডিজিটাল ইমেজিং এর যুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছবি সম্পাদনার ব্যাপারটাও খুব পরিচিতি পাওয়া শুরু করলো। এমন নয় যে, এর পূর্বে ছবি সম্পাদনা করা হতো না, তবে সেটি সাধারণ মানুষের জন্য খুব একটা সহজলভ্য ছিলো না। ১৯৯০ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি বাজারে উন্মুক্ত হলো অ্যাডবি কোম্পানির ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার অ্যাডবি ফটোশপ। ঐ যে শুরু, এরপর থেকে গল্পটা কেবল ফটোশপের জয়যাত্রার।

fANdMPS1I19M8LoFH6ktIQLoiiI0BUvRnFTj5bt2I Dc11CCT0ZCkBBYyWJsRs8DIsjBYjNvNa0r44urBET lrYY wKfEPiODNby1Rk9YcjZOELRM0nJLTWE0E2iJgt108g4 Qt

(Source: Amazon)

ইতিহাস


(Source: square space)

অ্যাডবি ফটোশপের পূর্বেও অ্যাডবির গল্পটা ছিলো শুধুই সাফল্যের। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস শুরুর দিকে অ্যাডবিকে কিনে ফেলার প্রস্তাব দিলেও অ্যাডবির ২জন প্রতিষ্ঠাতা জন ওয়ারনক ও চার্লস গেস্ক মাথা নেড়ে সঙ্গে সঙ্গে স্টিভকে ফিরিয়ে দেন। তবে তারা দুজনেই ঠিক করেন যে তারা অ্যাপলের সাথে কাজ করবেন, একসাথে। এরপর তারা অ্যাডবিতে অ্যাপলের টাইপ ওয়ান কম্পিউটারের জন্য নানা সফটওয়্যার তৈরি শুরু করেন। ১৯৮০ এর দিকে অ্যাডবি অ্যাপলের ম্যাকিন্টশের জন্য সর্বপ্রথম ইলাস্ট্রেটর নিয়ে আসে। তবে সেই ইলাস্ট্রেটর কিন্তু আজকের ইলাস্ট্রেটর মোটেই নয়। সেসময়ের ইলাস্ট্রেটরের কাজ ছিলো বিভিন্ন ধরণের ফন্ট ভেক্টর তৈরি করা। ১৯৮৯ এ অ্যাডবি ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারের জন্য বাজারে নিয়ে আসে তাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট, বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাডবি ফটোশপ। এই সফটওয়্যারের কাজ ছিলো গ্রাফিক্স ও ছবি সম্পাদনা।

অ্যাডবি ফটোশপ

        ফটোশপ হলো অ্যাডবি ইনকর্পোরেটেড এর জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার। শুরুর দিকে ফটোশপ দ্বারা ছবি সম্পাদনা ও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা হলেও পরবর্তীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য বিশেষ আরেক ধরণের সফটওয়্যার বের করা হয়, যাকে আমরা অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর নামেই চিনি। অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে বিভিন্ন ছবি এডিট করা, কালার গ্রেডিং ঠিক করা, ছবির ভুলত্রুটি সংশোধন, ছবিতে ইফেক্ট দেয়ার মত হাজারো কাজ করা সম্ভব। ফটোশপই প্রথম ডিজিটাল আর্টের বিষয়টা সবার সামনে তুলে ধরে। মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েব পেজ ডিজাইন- সব কাজের জন্যই একটাই নাম, আর তা হচ্ছে ফটোশপ।

T-Shirt Design করে Freelancing

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • বেসিক থেকে শুরু করে প্রফেশনাল টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের টুলস ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড টি শার্ট ডিজাইন করার কৌশল ও উপায়
  • প্রফেশনাল টি-শার্ট ডিজাইন পোর্টফোলিও তৈরি করার স্ট্র্যাটেজি
  •  

    অ্যাডবি ফটোশপের নির্মাতা হলেন থমাস নল ও জন নল এবং অ্যাডবি ফটোশপের সর্বশেষ সংস্করণের নাম হচ্ছে অ্যাডবি ফটোশপ সিসি ২০১৯ (Adobe Photoshop CC 2019) ।

    T27fBTrul3bzyR1XEqGG2XTKEmdNDFt7F NNEH1aUPH

    (Source: Amazon)

    ফটোশপের কাজ

    • নামেই পরিচয়- ফটোশপের আসল ব্যবহার হলো ছবি সম্পাদনা করা। প্রতিযোগিতার এক শতকের এক চতুর্থাংশ পার হয়ে যাওয়ার পরও অ্যাডবি ফটোশপই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। কোনো ছবিতে পিক্সেল পরিবর্তন, ছবির মান উজ্জ্বল করা অথবা ঝাঁ চকচকে ফটো ম্যানিপুলেশন- সবই সম্ভব ফটোশপের সাহায্যে।
    • অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে নজরে পড়া হরেক রকম পেইন্টিং কিন্তু রং-তুলি দিয়ে আঁকা নয়, বরং এগুলো ফটোশপের ডিজিটাল পেইন্টিং এর জাদু। দেখে বিশ্বাস না হলেও এগুলো আঁকা হয়েছে কম্পিউটারের পর্দায় ফটোশপের সাহায্যে।
    • গ্রাফিকস ডিজাইনের পুরো কাজটা এখন ইলাস্ট্রেটরের সাহায্যে করা হলেও ইলাস্ট্রেটর বের হওয়ার পূর্বে এসব ফটোশপ দিয়েই করা হতো। এমনকি অনেকের কাছেই ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার একটু কঠিন মনে হতে পারে, তারা কিন্তু ফটোশপেই যাবতীয় গ্রাফিকস ডিজাইন করে নিতে পারবেন।
    • ওয়েবসাইট ডিজাইনের হরেক রকম কাজ ফটোশপের সাহায্যে করা সম্ভব। এইচটিএমএল (HTML) এর সাহায্যে ওয়েবপেজ ডিজাইন করা কিছুটা কষ্টকর হলেও ফটোশপে কিন্তু কাজটা অনেক সহজ। এমনকি আমাদের মাথায় রংবেরঙের হাজারো আইডিয়া থাকে যা এইচটিএমএল ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে ডিজাইন করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়, কিন্তু আমাদের কাজটা সহজ করার জন্যই রয়েছে ফটোশপ।

    • আরও পড়ুন: টি-শার্ট ডিজাইন কীভাবে করে? জেনে নিন ১০টি সেরা টি-শার্ট ডিজাইনিং টিপস


    ফটোশপের ডালপালা

    শুরুতে অ্যাডবি ফটোশপ দিয়েই গ্রাফিক্স বা ছবি সম্পাদনার যাবতীয় সকল কাজ করা হতো। তবে আস্তে আস্তে ফটোশপের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বাড়তে শুরু করলে অ্যাডবি ইনকর্পোরেটেড কয়েকটি নতুন সফটওয়্যার বের করে, যা মূলত ফটোশপ দ্বারাই অনুপ্রাণিত। এগুলো এক একটি এক এক কাজের জন্য উপযোগী, কিন্তু সব কাজই চাইলে ফটোশপেও করা সম্ভব। অ্যাডবি ফটোশপ থেকে ছড়িয়ে পড়া এসব ডালপালা স্বরূপ সফটওয়্যারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফটোশপ এলিমেন্টস (Photoshop Elements), অ্যাডবি লাইটরুম (Adobe Lightroom), ফটোশপ ফিক্স (Photoshop Fix), স্মার্টফোনের জন্য জনপ্রিয় ফটোশপ এক্সপ্রেস (Photoshop Express), ফটোশপ স্কেচ ও ফটোশপ মিক্স।

    পূর্বে কিন্তু ফটোশপ আরো অনেকগুলো সফটওয়্যারের সাথে একসাথে যুক্ত ছিল, তাদের মধ্যে ছিলো ইমেজরেডি, ব্রিজ, ফায়ারওয়ার্কস, ডিভাইস সেন্ট্রাল ও ক্যামেরা র’ নামের সফটওয়্যারগুলো। এগুলো বর্তমানে আলাদা আলাদা সফটওয়্যাররূপে ডেভলপ করা হচ্ছে।

    ফটোশপ সিএস বনাম ফটোশপ সিসি

    tqEGYewe4jLiNBjV9Xnmjf5BiVUGvBclZNUEA4MsD3Wi8igdIyyHNe1uWtFg52B5YT9IC 1MhaMJHzECTbCjnInAMdJy9yO2iyJnR6fqvrOUedRv6FNhSycLQVWK s mjvFs16ZD

    (Source: Creative Studio Derby)

            অ্যাডবি ফটোশপ-ইলাস্ট্রেটর এর মত বিভিন্ন সফটওয়্যার যারা ব্যবহার করে থাকেন, তাদের কাছে অ্যাডবি সিএস (Adobe CS) ও অ্যাডবি সিসি (Adobe CC) এর ব্যাপারগুলো খুব পরিচিত। তবে দুঃখজনক হলেও এটি সত্য যে, আমাদের দেশে বেশিভাগই ব্যবহারকারীরাই কিন্তু পাইরেটেড পথে অ্যাডবি ফটোশপ এর সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে, বাহিরের অনেক দেশেই যা রীতিমত কঠিন অপরাধ। ডাউনলোড করে আমরা কমবেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করি বলে আমরা সিএস-সিসি এর ব্যাপারটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না। তবে অথেনটিক কপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিএস-সিসি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

            প্রথমে সিএস নিয়ে বলা যাক। অ্যাডবি সিএস এর পূর্ণরূপ হলো অ্যাডবি ক্রিয়েটিভ স্যুট (Adobe Creative Suite)। অ্যাডবির সবগুলো জনপ্রিয় সফটওয়্যারের কম্বো হলো এই অ্যাডবি সিএস। অ্যাডবি সিএস এর কোনো সংস্করণ ক্রয় করার সময় ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। তবে এখানে একটা ব্যাপার রয়েছে আর তা হলো, যদি সিএস এর পরবর্তীতে নতুন কোনো সংস্করণ বের হয় তবে ব্যবহারকারীকে সেটির পূর্ণ দাম পরিশোধ করতে হবে, বিনামূল্যে আপগ্রেড করার কোনো সুযোগ নেই।

            এবার আসা যাক অ্যাডবি সিসি নিয়ে। বর্তমান সময়ে অ্যাডবি সিসি-ই সর্বাধিক ব্যবহৃত। অ্যাডবি সিসি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে অ্যাডবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড (Adobe Creative Cloud) । অ্যাডবি সিসি থেকে সিএস এর পার্থক্য হলো, অ্যাডবি সিসি হচ্ছে সাবস্ক্রিপশন বেসড সফটওয়্যার। অর্থাৎ অ্যাডবি সিসি ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সাবস্ক্রিপশন চলাকালীন সময়ে ব্যবহারকারীর জন্য পরবর্তী সংস্করণও উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, বাড়তি কোনো টাকাপয়সার ঝামেলা ছাড়াই ! এছাড়াও অ্যাডবি সিসি তে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা রয়েছে। তাই অ্যাডবি ফটোশপে কাজের সময় যদি হঠাৎ করে তোমার কম্পিউটার অফ হয়ে যায়, তাহলেও তোমার ঐ প্রজেক্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাডবি তে সেভ হয়ে থাকবে। এজন্যই অ্যাডবি সিসি সমগ্র বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়।

    ফটোশপের খুঁটিনাটি

            অনেকের কাছেই মনে হতে পারে যে, ফটোশপ বোধহয় খুব কঠিন কোনো সফটওয়্যার এবং এটি শিখতে অনেকদিন লেগে যায়। তবে সত্যিটা হলো, অ্যাডবির যতগুলো সফটওয়্যার রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ একটি সফটওয়্যার হলো এই ফটোশপ। ছোটখাট কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই অল্প কিছু দিনের মধ্যে হয়ে ওঠা যায় খুব দক্ষ একজন গ্রাফিকস এডিটর। এর জন্য সর্বপ্রথমেই ফটোশপের বিভিন্ন টুল ও তাদের ব্যবহার শিখে নেয়া উচিত। ফটোশপের হাতেখড়ির শুরুতে যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়, সেগুলো হচ্ছে-

    • মেনু বার
    • টুলস
    • অপশন বার
    • মূল উইন্ডো বা ডকুমেন্ট উইন্ডো
    • প্যানেলস

    মেনু বার (Menu Bar):

    ফটোশপের সবচেয়ে উপরে যে বারটি দেখা যায়, তা হচ্ছে মেনু বার।  মেনু বার দিয়ে ফটোশপের মূল মেনুর কাজগুলো করা হয়। যেকোনো ফাইল তৈরি অথবা ফাইল ওপেন করা, সেভ করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ এই মেনু বার দিয়ে করতে হয়। মেনু বারের আবার কয়েকটি সাব-বার থাকে। কিছু কিছু মেনু বার কোনো ডকুমেন্ট ওপেন করলেই সক্রিয় হয় নতুবা হয় না।

    X0xLDkzYlW5sj7SYMdQdxHbCgkYcmm PogoiCpZQlQc5fRptmxrLiDppCgqlEhicaSbFWri

    অপশন বার (Option Bar):

    মেনু বারের ঠিক নিচের অংশটির নামই হচ্ছে অপশন বার। অপশন বার আর টুলস একসাথে কাজ করে। টুলস সিলেক্ট করার পর তার বিভিন্ন কাজের রূপের ধরণ এই অপশন বারে প্রদর্শিত হয়। যেমন, টুলস বার থেকে যদি পেইন্টব্রাশ সিলেক্ট করা হয়, তাহলে অপশন বার থেকে পেইন্টব্রাশের বিভিন্ন ধরণ, কালার, সাইজ ইত্যাদি ঠিক করে নেয়া যায়।

    vyDvTXzGTgz1

    টুলস বা টুলবার (Tools/Toolbar):

    ফটোশপের ঠিক বামদিকে লম্বালম্বিভাবে যেই বার রয়েছে, তার নাম হচ্ছে টুল বার। বলা যায়, ফটোশপের প্রাণ হচ্ছে এই টুল বার। ফটোশপের প্রায় প্রতিটি কাজেই কোনো না কোনো টুল ব্যবহার করতেই হয়। মাউস বা কীবোর্ডের সাহায্যে এই টুল সিলেক্ট করে বিভিন্ন কাজ করা যায়। টুল বক্সে বিভিন্ন ধরণের টুল রয়েছে, যেমন- ক্রপ টুল, সিলেকশন টুল, ব্রাশ টুল, ইরেজ টুল, ব্লার টুল, টাইপ টুল, জুম টুল ইত্যাদি।


    প্যানেলস (Panels):

    ফটোশপের যেই পার্শ্বে টুলবার রয়েছে, তার ঠিক বিপরীত অংশে অর্থাৎ ঠিক ডানদিকেই অবস্থান এই প্যানেলস এর। প্যানেল এর বিভিন্ন অংশ রয়েছে, তন্মধ্যে রয়েছে সোয়াচেস (Swatches), নেভিগেটর (Navigator), ব্রাশ প্রিসেটস (Brush Presets) এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেয়ারস (Layers) । লেয়ার-নেভিগেটর প্যালেটগুলো সাধারণত দুটি প্যানেল জুড়ে থাকে। এসব প্যানেলগুলো কাজের সময় ম্যাক্সিমাইজ ও দরকার হলে মিনিমাইজ করেও রাখা যায়।

    ফটোশপের বিভিন্ন ছবি এডিটিং এর সময় কিংবা ছবির প্রজেক্টে কয়েকটি স্তরের ডিজাইন যুক্ত করার মত আরো অসংখ্য কাজের জন্য প্যানেলসই ভরসা।

    cl3hWN7MVtMA4gwOMX71mQCZUTQHpCudVRX RCSPeKuY3fz5JezfoHceb Pa N3pEUSLWhimqrY nNU9z0o10vPCe7ZVkWwZpSgOOJEJQpN78pi19ADP jDR3 E0GEmYZ2UEgIZh

    মূল উইন্ডো বা ডকুমেন্ট উইন্ডো (Document Window):

    মূল যেই অংশে তোমার বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে তুমি কাজ করবে, সেই অংশটিকে বলা হয় ডকুমেন্ট উইন্ডো। অনেকে এই অংশটিকে ক্যানভাস ও বলে থাকেন। ফটোশপের মেনু বার থেকে যেকোনো ফাইল ওপেন করলে ঐ ফাইলটি এই ক্যানভাসে চলে আসবে। অপশন বার, ফিল্টার, টুলের সাহায্যে ছবির যেকোনো পরিবর্তন এই ডকুমেন্ট উইন্ডোতেই প্রদর্শিত হবে।

    ফটোশপের টিউটোরিয়াল

    ফটোশপে পারদর্শিতা লাভের জন্য টিউটোরিয়ালের কোনো বিকল্প নেই। ইউটিউবে ফটোশপ শেখার বিগিনারদের জন্য হাজারো প্লেলিস্ট রয়েছে। সেগুলোতে প্রতিটি পর্বে ফটোশপের নতুন নতুন ফাংশন শেখা যায়। এছাড়াও, টেন মিনিট স্কুলের ইউটিউব পেজ কিংবা স্মার্টফোনের অ্যাপেও ফটোশপে পারদর্শিতার জন্য রয়েছে হরের রকম টিউটোরিয়াল। অল্প সময়েই ফটোশপ শেখার জন্য টেন মিনিট স্কুলের এই টিউটোরিয়ালগুলো কিন্তু বেশ কাজের। টেন মিনিট স্কুলে অ্যাডবি ফটোশপ শেখার টিউটোরিয়ালগুলো পাবে এই লিংকে-

    https://www.youtube.com/playlist?list=PL1pf33qWCkmhM9nlj-STbrbytWMgUBH3R

    তাহলে আর দেরি কেন? লেখাটি পড়ার সাথে সাথে ফটোশপে পারদর্শী হওয়ার প্রথম ধাপ কিন্তু তুমি ইতোমধ্যে শিখে ফেলেছো। পরবর্তী ধাপে যাচ্ছো কবে?

    তথ্য সংগ্রহ:

    https://en.wikipedia.org/wiki/Adobe_Photoshop

    https://www.quora.com/Whats-the-difference-between-Adobe-CC-and-Adobe-CS

    https://kivabe.com/এডোবি-ফটোশপ-পরিচিতি/

     

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:


     

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন