যে ৭টি বিষয় বলে দেবে তুমি মানসিকভাবে কতোটা সুস্থ!

April 7, 2018 ...

পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।

life hacks, life tips, life tricks, manoshik, mental health, shusthotaসুষম খাবার, পরিমিত বিশ্রাম, নিয়মিত ব্যায়াম – সুস্থ থাকতে আর কী লাগে? সুস্থ থাকা কেন জরুরি?

দেশ উদ্ধার করা অথবা বন্ধুর জন্মদিন মনে রাখা কিংবা খাতা-কলম ব্যাগে ঢোকানোর কথা স্মরণে রাখার মতোই সুস্থ থাকার প্রয়োজনীয়তাটাও অনেক। অযুত তত্ত্ব, নিযুত টোটকা পেয়েও কিন্তু আবার শতভাগ সুস্থতার অধিকারী আমরা কেউ নই।

তার উপর কান অবধি বয়ে চলা আলোচনার ঝড় তো আছেই! সুস্থ থাকাটা একটু, উম, কষ্টের- বলা যেতে পারে।

তারপরেও গুটি কয়েকজন যারা গড়ে আশিভাগ সুস্থ, তারা কিছু তত্ত্বে বিশ্বাসী। এই তত্ত্বগুলোয় পুরোপুরি বিশ্বাস করলে তবেই না নিজেকে মোটামুটিভাবে মানসিকভাবে সুস্থ বলে প্রমাণ করতে পারো তুমি!

তত্ত্ব ৭: “আমি পারবো!”

দামি খাবারের দোকানে না গিয়ে টাকাটা ব্যাংকে রাখার কথা ভাবেন অনেকেই। পুঁজি করা টাকা দিয়ে তিন-চার বছরের মাথায় বালি ঘুরে আসা সম্ভব। গণিত ভীষণ কষ্টের হওয়ার সত্ত্বেও, দিন-রাত এক করে দেই, নম্বর পাওয়ার আশায়।

শত কঠিন কাজকেও সহজভাবে নেয়ার জন্য নিজেকে বশ করে নিতে হবে। ইংরেজিতে ব্যাপারটাকে ‘সেলফ কন্ট্রোল’ বলা হয়ে থাকে। নিজেকে কঠোর পরিশ্রম সয়ে যাওয়ার উপযোগী করে মানিয়ে নিতে পারলে, পৃথিবীর সব কাজই সম্ভব। কাজভেদে কাজকে ‘সহজ’ বলাটা বোকামি।

কাজ সহজ না হলেও, অধ্যবসায়ের গুণে ‘সম্ভব’ হওয়াটা কঠিন কিছু না।

তত্ত্ব ৬: “ভালো না লাগলেও, আমি পারবো!”

আলস্যের কারণে মূলত আমরা না করা কাজের তালিকাটাকে লম্বা করতে থাকি। হঠাৎ জুড়ে বসা মনখারাপ কিংবা একটু রুটিন থেকে সরে দাঁড়ালে মনে হয়, কাজটা কালকে করি। আগে হয়তো অনেক ভালো লাগা কাজটা হুট করে খারাপ লাগা শুরু করতেই পারে।

আমাদের হাসিমুখে বলা ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘স্বাগতম’-এ হয়তো কারো দিন ভালো যেতে পারে!

সেক্ষেত্রে কাজটা নতুনভাবে করার উদ্যোগ নিয়ে সেরে ফেলতে হবে। আগামীকালের জন্য কিছু ফেলে রাখা যাবে না।

Personal Fitness

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • বাসায় ব্যায়ামের নিয়ম এবং ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার
  • ফুল বডি ট্রেইনিংয়ের পাশাপাশি শরীরের আলাদা আলাদা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা
  •  

    তত্ত্ব ৫: “ঝড়ঝঞ্ঝা সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে!”

    খুব সাধারণ উদাহরণ দিয়েই বলা যাক। পরিবারের সবার দুপুরের খাবার বেড়ে দেয়ার পরও নিজের খেয়ে নেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হয় বাবা-মা’র। সবার জন্য করে নিজেরটা বুঝে নেয়াটা খুবই সহজ হবে যদি আমরা নিজ দায়িত্বে তা বুঝে নেই।

    অন্যের অপেক্ষা করা মানে তার উপর নির্ভর করা। অতঃপর আশান্বিত সহমর্মিতা না পেলে হতাশার সৃষ্টি হয়।

    আবার, নতুন কোনো কাজ শুরু করার আগে মেনে নিতে হবে যে, সমস্যা এই কাজে আসবেই। তা সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের সবার আছে। আমাদের শুধু একটু খুঁজে নিতে হবে।

    তত্ত্ব ৪: “সবাই শ্রদ্ধার পাত্র”

    পরিবারে সদস্য থেকে শুরু করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা কোনো অপরিচিত মুখ কিংবা বাস ড্রাইভার অথবা মুদির দোকানের কর্মচারী… সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে। এই শ্রদ্ধাটুকু শুধু মন থেকে এসে মনে যাতে না থেকে যায়!

    আমাদের হাসিমুখে বলা ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘স্বাগতম’-এ হয়তো কারো দিন ভালো যেতে পারে। অর্থ আর সম্মান কিন্তু দু’টো আলাদা ব্যাপার। অর্থের বিনিময় আমরা যা করতে পারি, তারচেয়ে অনেক বেশি আমরা শ্রদ্ধা আদান-প্রদান করে অর্জন করতে পারি।

    তাই শ্রদ্ধার আদান-প্রদানে যাতে কার্পণ্য না হয়, সে ব্যাপারে সুস্থ মানুষেরা সবসময়ই সতর্ক। নিজেকে ভালবাসা, অন্যকেও ভালোবাসতে শেখাতে সক্ষম আমাদের ছোট ছোট ভালো কাজগুলো। যেহেতু কাজগুলো নিতান্তই ছোট কিন্তু প্রভাবক বেশ, কাজেই কার্পণ্য করার তো প্রশ্নই উঠে না!

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৫

    ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:

  • লাইভ ক্লাস ও মাস্টার প্র্যাকটিস বুক
  • প্যারেন্টস মিটিং ও রিপোর্ট কার্ড
  • ক্লাসের পরই হোমওয়ার্ক সাবমিশন ও ডাউট সল্ভ
  • আনলিমিটেড পরীক্ষা
  •  

    তত্ত্ব ৩: “আমি আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে জানি!”

    life hacks, life tips, life tricks, manoshik, mental health, shusthota

    নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরে, নিজেকে নিয়ে ঠাট্টা করতে পারা একটা বড়গুণ। ক্ষমা প্রার্থনা না করা, কেউ ভুল ধরে দিলে তাকে এড়িয়ে চলা চরম দুর্বলতা। স্টিফেন কিং হাসতে হাসতে বলেছিলেন তাঁর সাহিত্য সম্পর্কে, “আমার সাহিত্য ম্যাক আর ফ্রাইসের সমতুল।” বারাক ওবামা তো নিজের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে হেসেই খুন হয়ে যান!

    আমরা যদি এই চমৎকার অভ্যাসকে আয়ত্ত্ব করতে পারি, তবে মুহূর্তেই আমাদের ভুলগুলো আমাদের সবচেয়ে সুন্দর দিক হিসেবে ধরা পড়বে অন্যদের চোখে।


    আরও পড়ুন: জেনে নিন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ১০০+ কিবোর্ড শর্টকাট!


    তত্ত্ব ২: “আমি পারি!”

    আমরা যখন নিজেকে বুঝিয়ে ফেলি যে আমরা পারি, তখনই আশান্বিত ফলের পঞ্চাশ শতাংশ আমরা পেয়ে যাই। তাই মানসিকভাবে সুস্থ মানুষজন, মনেপ্রাণে এই বিশ্বাস পুষে থাকেন নিজের মধ্যে।

    তত্ত্ব ১: “আমি ভালবাসি এবং নিজেও ভালবাসার যোগ্য”

    আমি নিজে বিশ্বাস করি, “People deserve better!” সে যে-ই হোক না কেন। আমাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের ভালবাসেন। হয়তো সারাক্ষণ ব্যাপারটির প্রকাশ ঘটে না। কেন না, সবসময় হয়তো সম্ভব হয়ে ওঠে না।

    কিন্তু তারা আমাদের ভালবাসেন। আমরাও তাদের ভালবাসি। তারা আমাদের ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য। ঠিক তেমনি, যেমনি আমরা তাদের ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য।

    তত্ত্ব/ টোটকা গ্রহণ করার ব্যাপারটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত। তারপরেও পরিবর্তনের ইচ্ছা থেকে যদি আশিভাগ মানসিক সুস্থতা অর্জন করা যায়, তবে একটু চেষ্টা করা যেতেই পারে, নাকি?


    ১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:


    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন