ছোটবেলার একটা স্মৃতি এখনও মনে পড়ে। খুব ছোট ছিলাম তখন, বড়জোর ক্লাস টু-থ্রিতে পড়ি তখন। কারেন্ট চলে গেছে। সেসময়ে বাসায় আইপিএসও ছিল না। আমি আর আপু বসে গল্প করছি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে অসহ্য লাগছিলো আমার। তখন আপু আমাকে মেডিটেশন নামক উদ্ভট একটা শব্দের সাথে পরিচয় করায়। আমার কৌতূহল ছিল মেডিটেশন নিয়ে। আপু তখন আমাকে বললো, “মেরুদণ্ড সোজা করে দুহাত প্রসারিত করে বসো, চোখ বন্ধ করে মাথা স্থির রেখে চিন্তা করতে থাকো যেন তুমি কোনো শীতল রুমে বসে আছো।“ দারুণ উৎফুল্লতার সঙ্গে আমি চোখ বন্ধ করে তথাকতিত সেই মেডিটেশনে লেগে পড়লাম। মিনিট দশেক পর খেয়াল করলাম, আমার বিন্দুমাত্র ঠান্ডা লাগছে না বরং আগের চেয়ে অনেক বেশি গরম লাগছে। আপুর অট্টহাসি তখন থামায় কে!
হুটহাট হাত পা ছড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বসে থাকলেই সেটা মেডিটেশন হয় না। মেডিটেশন করতে হলে জানা দরকার মেডিটেশন কি, এর উপকারিতা, নিয়মকানুন ইত্যাদি। চলো, জেনে আসি দেরি না করে…
মেডিটেশন কি?
ধ্যান, যোগব্যায়াম নাকি অন্যকিছু? মনোবিজ্ঞানে একটা শব্দ রয়েছে- মাইন্ডফুলনেস। মাইন্ডফুলনেস হলো দেহের এমন একটা পর্যায়, যেখানে আমাদের দেহ মস্তিষ্কের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দেহকে একটা সুস্থির অনুভব দান করে। এই মাইন্ডফুলনেসই মূলত মেডিটেশনের সংজ্ঞা উপস্থাপন করে। সোজা বাংলায় বললে, মেডিটেশন হলো মানবদেহ, মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত ও শিথিল করার একটি চর্চাসরূপ। এটিকে একধরনের ব্যায়ামও বলা যায়। তবে এটি আর ১০টি ব্যায়ামের মত দেহের মাংসপেশির বিকাশ ঘটায় না, বরং এই ব্যায়াম অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যাক্তি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ও শূন্য মস্তিষ্ককে আরও বেশি একাগ্র হতে ধাবিত করে। কম্পিউটার চালানোর সময় উইন্ডোজ ধীরগতি হয়ে গেলে আমরা যেমন মাউসের রাইট ক্লিক করে উইন্ডোজকে রিফ্রেশ করে নিই, ঠিক তেমনি মেডিটেশন আমাদের দেহের কম্পিউটারে রিফ্রেশ বাটনের মত কাজ করে।
কুংফু পান্ডা মুভিটি দেখেছো না? সেখানে পো তাঁর কুংফু মাস্টার শিফুর কাছ থেকে এক বিশেষ দীক্ষা লাভ করে, যার নাম “ইনার পিস।” মেডিটেশনও ঠিক তেমনি তোমাকে তোমার ইনার পিস খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের স্নায়ুবিজ্ঞান ল্যাব ডিরেক্টর রিচার্ড জে. ডেভিডসন একবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন,
“বৌদ্ধ শাস্ত্রমতে মেডিটেশন হলো ইংরেজি অভিধানের স্পোর্টস শব্দটির মত। এটা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় না বরং এটি হলো বিভিন্ন কার্যক্রমের সমন্বয়সরূপ।”
এমনকি ভিন্ন ভিন্ন মেডিটেশনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্রেইন স্কিল দরকার হয়। ঠিক যেমনটি হয় ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলার ক্ষেত্রে।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Personal Fitness
মেডিটেশনের প্রকারভেদ:
হরেক রকম মেডিটেশন রয়েছে। সবগুলো মেডিটেশন যে একই রকম, তা কিন্তু নয়। কোনো কোনোটির পদ্ধতি যেমন অন্যরকম, তেমনি এক এক মেডিটেশন দেহে এক এক ধরণের উন্নতি সাধন করে। তবে সবকিছু বিবেচনা করলে মেডিটেশন মূলত ২ প্রকার- কনসেন্ট্রেশন মেডিটেশন ও মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন।
১. কনসেন্ট্রেশন মেডিটেশন:
কনসেন্ট্রেশন মেডিটেশন করা হয় কোনো নির্দিষ্ট বস্তুর উপর মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানবদেহকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে। হতে পারে নিঃশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, বারংবার শব্দোচ্চারণ, মোমবাতির প্রজ্বলন পর্যবেক্ষণ কিংবা বিট গণনা করার মত অদ্ভুত সব কার্যক্রম। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও বাস্তবে কিন্তু এগুলো দারুণ কার্যকরী। মস্তিষ্কের এই একাগ্রতা অনুশীলনের মেডিটেশন শুরুর দিকে কিছুটা কষ্টকর লাগতে পারে। ধীরে ধীরেই আয়ত্ত আনা সম্ভব এই মেডিটেশনকে।
২. মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন/ ওপেন মনিটরিং মেডিটেশন:
এই ধরণের মেডিটেশন মস্তিষ্কের বিশাল একটা অংশজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে। কনসেন্ট্রেশন মেডিটেশনের তুলনায় মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন অনেকটাই গভীর। প্রতি মুহূর্তে যেসকল চিন্তাভাবনা আমাদের মস্তিষ্কে ঢু মেরে চলে যায়, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন সেসবের উপরই লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করে। এই মেডিটেশনের মূল উদ্দেশ্য সেসব চিন্তাভাবনাকে বিচার করা বা বিলম্বিত করা নয়, প্রতিটি চিন্তাভাবনার উত্তরণে আমাদের দেহের প্রতিক্রিয়ার উন্নতি সাধন করা। ধরো, আমাদের সামনে একটা বিশাল সমস্যা এসে হাজির হলো। এখন আমরা সেই সমস্যা থেকে উত্তরণে কি কি পদক্ষেপ নিবো, সেটার সাথে কিন্তু মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের কোনো সম্পর্ক নাই। বরং আমরা পরিস্থিতিকে কিভাবে গ্রহণ করবো, সে ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করবে এই মেডিটেশন।
আত্ম উন্নয়ন ও মেডিটেশন:
অনেকের মতে মেডিটেশন হলো একটি স্কিল। মেডিটেশন শেখা আর ১০টি স্কিল শিখে পারদর্শিতা লাভ করার মতই। আত্ম উন্নয়নের শুরুটা করার জন্য ঘরে বসেই মেডিটেশন করা সম্ভব। মেডিটেশন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ব্যাক্তিজীবনে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ক্ষেত্রে যার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে কিশোরকিশোরীদের মধ্যে ডিপ্রেশনের যে ভয়ংকর এক ছোবল লক্ষণীয়, তা দিনে দিনে কেবল বেড়েই চলছে। এই ডিপ্রেশন উত্তরণে সহায়ক হতে পারে মেডিটেশন। প্রতিদিন নিজের জন্য অল্প কিছু সময় বের করে মেডিটেশনের মত যোগব্যায়াম শরীর ও মনের প্রফুল্লতাকে অনেকাংশেই বৃদ্ধি করে দেয়। আমাদের দেহের ৭৫ শতাংশ রোগের কারণই হচ্ছে হতাশা-দুশ্চিন্তা। বলা হয়ে থাকে, আত্ম উন্নয়নের জন্য মানবদেহে যে শিথিলতা দরকার, টেনশন-দুশ্চিন্তা সেই শিথিলতার সাথে কিছুতেই একসাথে থাকতে পারেনা। পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া, বদভ্যাস ত্যাগ, জ্ঞানের পরিধিকে বাড়িয়ে নেয়া, – এরকম হাজারো কাজের কাজী হলো মেডিটেশন।
মেডিটেশনের উপকারিতা:
আত্মউন্নয়নের পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন উন্নয়ন, মানসিক বিকাশেও মেডিটেশন উপকার করে। তেমনিই মেডিটেশনের কিছু উপকারিতা হলো-
১. অবশ্যই, ছাত্রজীবনে সত্যিকার অর্থেই মেধাবিকাশে মেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই।
২. মেডিটেশন দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্ত চলাচলে উন্নতি সাধন করা, হৃদপিণ্ডকে সচল রাখা, শ্বাসযন্ত্রের ধীরস্থির ক্রিয়া বজায় রাখার মত কাজে সহায়তা করে।
৩. মেডিটেশন দুশ্চিন্তা-ডিপ্রেশন বা হতাশাকে বিদায় করে, দেহের জন্য কল্যাণকর অনুভূতি বয়ে আনে, মনকে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বেগমুক্ত করে, মনকে প্রফুল্ল করে।
৪. অনিদ্রা, মাইগ্রেন, সাইনুসাইটিস, ডায়াবেটিসের মত রোগ থেকে মানবদেহকে অনেকাংশে আরোগ্য করে থাকে মেডিটেশন।
৫. বিভিন্ন ধরণের নেশাজাত দ্রব্যের প্রতি আসক্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে মেডিটেশন হতে পারে শক্তিশালী চিকিৎসা। একারণে অনেক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মত প্রতিষ্ঠানেও আজকাল রোগীদের মাঝে মেডিটেশনের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
মেডিটেশন করার উপায়:
“মেডিটেশন কিভাবে করবো” এই প্রশ্নটা যতই না সহজ, উত্তরটা তারচেয়ে একটু কঠিন। কেননা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মেডিটেশন শুরু করা হলেও চর্চাটা ধরে রাখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২-১ দিন মেডিটেশন করেই ইন্সট্যান্ট ফলাফল চাওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। ধীরে ধীরে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মেডিটেশন, সঙ্গে সঙ্গে নয়।
মেডিটেশন শুরু করার পূর্বে কিছু দিকে অবশ্যই নিশ্চিত করে নিতে হবে। যেমন-
১. স্থান নির্বাচন:
স্থান নির্বাচন মেডিটেশনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিশ্চয়ই কোনো নোংরা কিংবা অসস্থিকর স্থানে বসে তোমার মন শিথিলাবস্থায় থাকবে না !
২. পোশাক নির্বাচন:
মেডিটেশন করার সময় এমন সব পোশাক নির্বাচন করা উচিত, যা তোমার নিজের কাছে আরামদায়ক। প্রচন্ড শীত কিংবা প্রকন্ড রোদের তাপে পোশাকজনিত সমস্যা হলে আর যাই হোক, অন্তত মেডিটেশন মনোনিবেশ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
৩. সময় নির্বাচন:
ধ্যানের মত ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলে, শেষমেশ দেখা যাবে কলেজের বাসটাই মিস করে বসলে একদিন ! এমন সব পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে আগেভাগেই ঠিক করে নেয়া উচিত যে ঠিক কতক্ষণ তুমি মেডিটেশন করতে চাও।
৪. স্ট্রেচিং:
যারা প্রতিনিয়ত জিমে ব্যায়াম করতে যাও, তারা যেকোনো ব্যায়ামের পূর্বে স্ট্রেচিং এর প্রয়োজনীয়তা ভাল করেই জেনে থাকবে। হুট করেই কখনও ব্যায়ামের জন্য বসে পড়া উচিত না। এতে ব্যায়ামের প্রকৃত সার্থকতা হারিয়া যায়। মেডিটেশনের পূর্বেও তেমনি ভালোমত গা গরম করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
হৃদয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে যে ৪০টি উক্তি
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ১১টি উপায়
মেডিটেশন কিভাবে করবো?
এক. আরামদায়ক কোনো স্থানে সোজা হয়ে বসে পড়া, চাইলে মেডিটেশনের জন্য বিশেষ চেয়ার কিংবা কুশন ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
দুই. চোখ বন্ধ করে রাখাটা মেডিটেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অনেক সময় মেডিটেশনে পারদর্শী হয়ে গেলে চোখ খুলে মেডিটেশনের চর্চা করা যায়। কিন্তু অনভিজ্ঞদের জন্য চোখ বন্ধ করেই মেডিটেশন করা উচিত। খুব বেশি বল প্রয়োগ করে চোখ বন্ধ না করে বরং স্বাভাবিকভাবে চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
তিন. শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা মেডিটেশনের সবচেয়ে কার্যকরী একটা নিয়মের মধ্যে একটি। তোমার ধ্যান ধারণা যেন তোমার শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শুধুমাত্র তোমার শ্বাসপ্রশ্বাস এর দিকেই থাকে। নিঃশ্বাসকে অনুসরণ করাই মেডিটেশনের মূল উদ্দেশ্য। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ চিত্রসমূহই তোমাকে তোমার নিঃশ্বাস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
চার. কিছু কিছু মেডিটেশন মন্ত্রোচ্চারণের দিকে বিশেষ শর্ত আরোপ করে। গমগম সুরে ছোট ছোট মন্ত্র বলতে থাকার মাধ্যমে আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে বাহিরের জগতের কার্যালাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত করে আনতে পারবো।
পাঁচ. মোমবাতি, ক্রিস্টাল, ফুলের পাপড়ির মত বিভিন্ন বস্তু মেডিটেশনের ভিজ্যুয়াল অবজেক্ট হিসেবে কাজ করে। এক নাগাড়ে এসব বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকাটা আমাদের দৃষ্টির ফোকাস ক্ষমতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এসব বস্তুর দিকে ধীরস্থির ভাবে তাকিয়ে থাকতে হবে, সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে বস্তুটির বিভিন্ন গতিবিধি। ঠিক চোখ বরাবর বস্তুটিকে স্থাপন করতে হবে যেন বস্তুটিকে দেখার জন্য মাথা উঁচুনিচু করার প্রয়োজন না হয়।
ছয়. স্থির হয়ে চিত হয়ে শুয়ে নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংবেদনশীল অনুভূতি সৃষ্টি করতে হবে। যেমন, ধরা যাক পায়ের বুড়ো আঙুলে তুমি নখ দিয়ে হালকা চিমটি কাটলে। কিছুক্ষণ পর তোমার ঐ পা সামান্য উপর নিচে করতে হবে এবং পুনরায় এই অনুশীলনটি করা লাগবে। ঐ চিমটির অনুভূতি তোমার শরীরে কি ধরণের সংবেদন প্রেরণ করে কিংবা তোমার শরীর কিভাবে সেই অনুভূতিকে ধারন করে- এটিই হচ্ছে মেডিটেশন।
মেডিটেশন কি হারাম?
অনেকে বলে থাকেন, মেডিটেশন করা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের জন্য হারাম, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে। সত্যি কথা হলো, এরকমটা যারা মনে করে থাকেন, তাদের ধারণা ১০০% ভুল। ছোটবেলায় ইসলাম শিক্ষা বইতে তো আমরা সবাই পড়েছিলাম যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রায় সময়ই হেরা গুহায় গিয়ে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে দূরে রেখে তিনি ধ্যান তথা মেডিটেশন করতেন। সৃষ্টিকর্তার বিভিন্ন আদেশ-উপদেশ তিনি এই গভীর ধ্যানের মাধ্যমেই পেয়ে থাকতেন বলে জানা যায়। আধুনিক ইসলামিক মতাদর্শে মেডিটেশনকে অনেক কদর করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মে তো বটেই, হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মেও মেডিটেশন সম্পূর্ণ জায়েজ।
মেডিটেশনের অ্যাপ:
- The Mindfulness App
- Headspace
- Calm
- Mindbody
- Meditation Timer Pro (Paid App)
মেডিটেশনের জন্য বই:
- The Miracle of Mindfulness: An Introduction to the Practice of Meditation (Author: Thich Nhat Hanh)
- How to Meditate: A practical Guide (Author: Kathleen MacDonald)
- How to Meditate: A Practical Guide to Making Friends with your Mind (Author: Pema Chodron)
- 10% Happier: How I Tamed the Voice in My Head, Reduced Stress Without Losing My Edge, and Found Self-Help That Actually Works–A True Story (Author: Dan Harris)
- আত্নোন্নয়ন ও মেডিটেশন (লেখক: মোস্তাক আহ্মাদ)
মেডিটেশনের উক্তি:
মেডিটেশন সম্পর্কে গুণীজনেরা বলেন,
“Meditation is the dissolution of thoughts in Eternal awareness or Pure consciousness without objectification, knowing without thinking, merging finitude in infinity”
— Voltaire
“The thing about meditation is: You become more and more you.”
— David Lynch
“In the same way that rain breaks into a house with a bad roof, desire breaks into the mind that has not been practicing meditation.”
— Buddha
মেডিটেশনের অপকারিতা:
১. বাস্তব জগত হতে ধ্যান-ধারণা হারিয়ে ফেলা
২. ভুল ধারণা থেকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার আবির্ভাব
৩. সংবেদনশীল উপলব্ধির পরিবর্তন হওয়া
৪. মানবদেহে একঘেয়েমিতা চলে আসা
তো আর দেরি কেন? কাল সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাক তোমার মেডিটেশন !
তথ্য সংগ্রহ:
https://www.wikihow.com/Meditate
https://www.headspace.com/meditation-101/what-is-meditation
https://www.gaiam.com/blogs/discover/meditation-101-techniques-benefits-and-a-beginner-s-how-to
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Study Smart Course by Seeam Shahid Noor
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Course by Abtahi Iptesam
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
আপনার কমেন্ট লিখুন